থাইল্যান্ড: বাড়ির বাগানে গাঁজা চাষ করতে পারেন, গাঁজা চাষ করতে পারেন যেখানে ইচ্ছে। সম্প্রতি এমনই এ সুযোগ দিয়েছে এই দেশের সরকার। থ্যাইল্যান্ডে গাঁজা আগেই আইনের আওতায় এসেছিল, এ বার ঘরে ঘরে গাঁজা চাষে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকার পাশে দাঁড়াল।
সম্প্রতি সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গাঁজা চাষে উৎসাহ দিয়ে বদ্ধপরিকর সরকার দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে গাঁজা গাছের চারা বিতরণ করবে। পাশাপাশি, সেই গাঁজা গাছ লাগিয়ে ফেলা যাবে বাড়ির সামনের বাগানেই। ৯ জুন থেকে থাইল্যান্ডে এই নিয়ম চালু হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের সরকার মনে করছে, এই ছাড় দেওয়ার ফলে বড়সড় বাণিজ্যিক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে থাইল্যান্ড। নতুন করে এই দেশ ২ কোটি টাকার উপর লাভ করতে পারবে।
সে দশের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার এই ১০ লক্ষ গাছ বিতরণ করছে কারণ সরকার চায় চিকিৎসাক্ষেত্রের গাঁজা গাছের উৎপাদন আরও বেশি করে বৃদ্ধি পাক।
থাইল্যান্ড সরকার চায়, কোভিডের পরবর্তী সময়ে যে ভাবে সে দেশের পর্যটন বাণিজ্য মার খেয়েছে, সেই বাণিজ্যের হাল ফিরুক, দ্রুত অর্থনীতির এ চাঙ্গা রূপ দেখুক দেশ, চিকিৎসাক্ষেত্রের বাণিজ্যের সঙ্গে এর যোগ তৈরি হোক।
গোটা দেশে বিনামূল্যে ১০ লাখ গাঁজার চারা বিলি করবে থাইল্যান্ড সরকার। পুরো জুন মাস জুড়ে হবে এই গাঁজার চারা দেওয়ার কাজ। এমনই জানিয়েছেন সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চারনভিরাকুল।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৮ মে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। এটি যাতে থাইল্যান্ডের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে চাষ হয় এবং ক্রমে যাতে গৃহস্থালীর ফসল হয়ে ওঠে, সেই ইচ্ছার কথাও বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য ৯ জুন থেকে থাইল্যান্ডের এই নতুন আইন কার্যকর হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে সেখানকার লোকজন বাড়িতে গাঁজার চাষ করতে পারবেন। তবে ওই গাঁজা গাছগুলিকে মেডিকেল গ্রেডের হতে হবে এবং শুধুমাত্র ওষুধ তৈরির উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করতে হবে। এমনই জানানো হয়েছে থাইল্যান্ড সরকারের তরফে। লাইসেন্স ছাড়া এই গাঁজা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সেখানকার সরকার।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের একটি অর্থকরী ফসল হিসাবে গাঁজাকে তুলে ধরার নবতম প্রয়াস এটি। বিশ্বব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, থাইল্যান্ডের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে যুক্ত। উল্লেখ্য,দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ড্রাগের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে। সেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড, যে ২০১৮ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণা ও ব্যবহারের জন্য গাঁজাকে বৈধ করে দেয়। ঘটনাক্রমে সে দেশে গাঁজা ঘিরে স্থানীয় আইনও শিথিল হয়েছে। বিভিন্ন থাই পানীয় এবং প্রসাধনী সংস্থাগুলি গত বছর হেম্প এবং সিবিডি যুক্ত পণ্য চালু করার পিছনে ছুটেছিল। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ১০ মে আরও একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, রেজিস্টার্ড থাই কোম্পানিগুলি গাঁজা পণ্য হিসেবে বিক্রি করতে পারে যাতে ০.২ এর কম টেট্রাহাইড্রোকানাবিনল বা THC রয়েছে।
-সংকলিত