সংবাদদাতা, গাংনী ( মেহেরপুর) থেকে: শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে জামাতের ৩০ নেতাকর্মি গ্রেপ্তার হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভাটপাড়া গ্রামের চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদে বসে জামায়াতের একটি গ্রুপ নাশকতা করার জন্য সরকার বিরোধী বৈঠক করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টীম মসজিদটিকে ঘরে ফেলে অভিযান চালিয়ে ৩০ নেতা কর্মীকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে তাদের দলীয় চাঁদা (ইয়ানত) উত্তোলনের খাতা, লিফলেট ও কিছু জিহাদী বই জব্দ করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে ও সাহারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী সেখ সাদী (৩২), ভাটপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে ও ভাটপাড়া গ্রাম জামায়াতের সভাপতি রবিউল ইসলাম ওরফে রুবেল (৩০), আতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান (৩০), আফিল উদ্দীনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), মৃতু ওয়াছের আলীর ছেলে কাউছার আলী (৫৬), তার ভাই ফাইজার আলী (৫৯), মজির উদ্দীনের ছেলে তৈয়ব আলী (৪০), ইমারুল ইসলামের ছেলে ইউসুব আলী (৩০), সাহাব উদ্দীনের ছেলে রিপন হোসেন (৩২), আবুল হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৫৬), মহির উদ্দীনের ছেলে সেলিম রেজা (২৯), হোসেন আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৮)মকছেদ আলীর ছেলে তোহিদুল ইসলাম (৫৯), ফজল আলীর ছেলে এরশাদ আলী (৪৫), ফজলুর রহমানের ছেলে ইফরান আলী (৪২), মৃতু বছের আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তারের (৭০), মৃতু মকছেদ আলীর ছেলে তাবারক আলী (৪৪), কাবের আলীর ছেলে মখলেছুর রহমান (৩০), আব্দুর রশিদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫০), ফজর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৬০), বাবলু হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দীন (৩৪), রমজান আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (৫০), কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সোহেল রানা (২৬), একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আলহাজ হোসেন (৫০), কুলবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে এরশাদ ওরফে লাল্টু হোসেন (৩৭), নবী বকসের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫৫), আব্দুল ওহাবের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৫০), গনজের আলীর ছেলে ইনারুল ইসলাম (৪০), ভাটপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আকরাম হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আরিফুল ইসলাম (৪০)।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান, এসআই মাসুদুর রহমান, এসআই পিন্টু ও সংগীয় ফোর্সসহ অভিযান চালানো হয়।