বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাইবান্ধা: সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ ধান ক্ষেত ব্লাটসে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাষিরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। চিকন এবং আগাম জাত হওযায় অনেক কৃষক ব্রি-২৮ ধান চাষাবাদ করে আসছে দীর্ঘদিন হতে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বোরো মৌসুমে অনেক কৃষক অল্প জমিতে ব্রি-২৮ জাত ধান চাষ করেছে। ঠিক ধান কাটামাড়াইয়ের আগ মুহূর্তে ব্লাটস আক্রান্ত হওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে চাষিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৬ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও মোটামুটি ভাল হয়েছে। বিশেষ করে নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলে বিভিন্ন জাতের ধানের ফলন অত্যন্ত ভাল হয়েছে। তবে ব্রি-২৮ জাত ধান অনেক পুরাতন হওয়ায় নানাবিধ রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলার শান্তিরাম গ্রামের কৃষক রাসেল মিয়া জানান, দেড় বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ জাত ধান চাষ করেছি। আগামী ২০ দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলার কথা ছিল তার। কিন্তু ব্লাটসে আক্রান্ত হয়ে গোটাধান ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার মত হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্নজনের পরামর্ম নিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে কোন কাজ হয়নি।
দেড় বিঘা জমি চাষাবাদে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষক তারা মিয়া জানান, তারও একবিঘা জমির ব্রি-২৮ জাতের ধানের একই অবস্থা হয়েছে। তিনিও বেশ কয়েকবার কীটনাশক ছিটিয়ে কোন লাভ হয়নি।
উপজেলার শান্তিরাম ব্লকের উপসহকারী জিল্লুর রহমান জানান, ব্রি-২৮ জাতের ধান ছাড়া অন্যান্য জাতের ধানের ফলন অনেক ভাল হয়েছে। চলতি মৌসুমে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক ব্রি-২৮ জাত ধান চাষাবাদ করেছে। কৃষকরা সঠিক পরামর্শ না নেয়ায় ব্লাটস আক্রান্ত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব বেশি ক্ষতি হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, ব্রি-২৮ জাত ধান অনেক পুরাতন। সে কারণে ব্রি-২৮ জাত ধানক্ষেতে নানাবিধ রোগ বালাই লেগেই থাকে। কৃষকদের ব্রি-২৮ জাত ধান চাষাবাদে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। তারপরও অনেক কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এর পরিমাণ অনেক কম। উপসহকারী কৃষি অফিসারদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।