Home সারাদেশ গাজীপুরে কড়া লকডাউন, ঢুকছে না দূরপাল্লার গাড়ি

গাজীপুরে কড়া লকডাউন, ঢুকছে না দূরপাল্লার গাড়ি


মোঃ রাসেল মিজি গাজীপুর থেকে: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় ঢাকার চারপাশের গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) শুরু হয়েছে। গাজীপুর আছে এই লকডাউনের আওতায়। ফলে সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর রাখতে পুলিশ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে। গাজীপুর চৌরাস্তা ও কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা সহ গাজীপুর ও ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী জৈনাবাজার ইউটার্নে পুলিশের কড়া নজরদারী রয়েছে। ফলে বন্ধ রয়েছে সবধরনের যানচলাচল। রাজধানীতে ঢুকতে ও বের হতে দেয়া হচ্ছেনা কোন ধরনের গণপরিবহন। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও বিভিন্ন কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ। অনেকে আবার বাস থেকে নেমে হেঁটে কিংবা অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশায় উঠে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। এতে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ ও গার্মেন্টস কর্মীরা। তবে, পণ্যবাহী যান, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও পোশাক শ্রমিক বহনকারী গাড়ীগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।
কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার অপেক্ষারত যাত্রীরা বলছেন, সরকার লকডাউন দিলেও অফিস-কারখানা বন্ধ নয়। আবার ঢাকায় যাওয়া বাসগুলো বন্ধ রয়েছে। কাজে না গেলে চাকরি থাকবে না। হয় যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরেকজন বলেন ‘কারখানা খোলা রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৌঁছাতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি যাওয়ার জন্য বাস নেই। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারা ঠিকই অফিসে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যেতে পারছি না। এক জায়গায় দুই অবস্থা, এটা হতে পারে না। হয় সবার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে, না হয় সব কিছু বন্ধ করতে হবে।’ 
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, কোনো গণপরিবহনই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ বের হলে তাদের আটকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, গাজীপুর ও ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা জৈনাবাজারে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি নির্দেশে পণ্যবাহী এবং অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়ি গাজীপুরে প্রবেশ এবং বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ কার্যকর থাকবে।