বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাজীপুর: গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু জেরে যমুনা গ্রুপের একটি ঝুটের গুদাম ও সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা। তাৎক্ষণিকভাবে যমুনা গ্রুপের ঝুটের গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও এবিএম ফ্যাশন লিমিটেডের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কারখানার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, বিকেলের দিকে একজন শ্রমিক মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আবার বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা গাজীপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও ভাঙচুর করেন। এরপর আন্দোলনরত শ্রমিকরা প্রথমে যমুনা ফ্যাশনে আগুন দেন। সেটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপর কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।
কোনাবাড়ী থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে।
বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাসন সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বাসন থানার এলাকার ডিজাইন এক্সপ্রেক্স লিমিটেডের ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। রাসেল ঝালকাঠি সদর উপজেলার খাঘুটিয়া গ্রামের হান্নান হাওলাদারের ছেলে। বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়।
রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়।