বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাজীপুর: শ্রীপুরে স্বপন আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তির করা গাড়ি ভাঙচুর নাশকতা মামলায় আসামি ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল্লা আল মামুনকে (২৩)। তিনি বরমী বাজার এলাকার গোলাম মোস্তুফার ছেলে।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মামুনকে নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে সংবাদে । ছাত্রলীগ কর্মী বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে একই মামলার আসামি এমন খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
সোমবার দুপুরে (০৬ অক্টোবর) শ্রীপুর মডেল থানায় বিস্ফোরক ও নাশকতার অভিযোগে এ মামলাটি রুজু করা হয়। মামলা করেন তাকওয়া পরিবহনের স্বপন আহমদ।
মামলা নথিভুক্ত হওয়ার খবর পেয়ে মামুন ফেসবুকে লিখেছেন, আমি ছাত্রলীগ কর্মী হয়েও নাশকতা মামলার আসামি হলাম। এ পোস্ট অল্প সময়ের মধ্যে সবার নজরে আসতেই সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। আবদুল্লা আল মামুন ছাত্রলীগ কর্মী এমন একটি প্রত্যয়ন করা চিঠিও (দলীয় প্যাডে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার আসামি করা হয়েছে। তবে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি আসামি হয়ে থাকলে চার্জশিট হওয়ার আগে অধিকতর তদন্ত করে আসামি নিশ্চিত করা হবে।
ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ৫ অক্টোবর সকালে মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের নিচে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিল করে। এ মিছিলে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি সমর্থনে বিশাল শান্তি মিছিল চলে। বিএনপির অবরোধ নাশকতা আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিয়মিত রাজপথে তিনি থাকেন। কিন্তু বেড়াইদেরচালা এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাকেও ভাঙচুর নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী হয়েও নাশকতা মামলার আসামি করা হয়েছে শুধু দলীয় গ্রুপের রঙ লাগিয়ে।
বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের ইউনিয়ন শাখার দায়িত্ব পালন করেছি। বহু মিছিল মিটিং এ আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। সে ছাত্রলীগের আদর্শের একজন সক্রিয় কর্মী। চলতি সময়েও বিএনপি ডাকা অবরোধ বিরোধী নানা শান্তি মিছিলে সে সক্রিয় ছিল। এ মামলার ঘটনার দিনেও মাওনাতে শান্তি মিছিলে ছিল।
বরমী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ খন্দকার বলেন, মামুন এক সময় চাকরির জন্য আসলে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া হয়েছিল। আমি সেখানে প্রত্যয়ন করেছিলাম চাকরি পাওয়ার সুবিধার জন্য। তবে সে ছাত্রলীগ কর্মী কি না এটা আমি নিশ্চিত না।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহাবু্ব হাসান জানান, আবদুল্লা আল মামুন ছাত্রলীগ কর্মী না। কোনো মিটিং মিছিলে তাকে কখনো দেখা যায়নি।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসিম জানান, বাদী স্বপন আহম্মেদের অভিযোগে যাদের নাম ছিল তাদের আসামি করা হয়েছে। মামলাটি নথিভুক্ত হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে যে কোনো নির্দোষ ব্যক্তির নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হবে। তবে নাশকতাকারী বা অপরাধীর কোনো দলীয় বা ব্যক্তি পরিচয় হয় না। সে শুধু অপরাধী এটাই পরিচয়।