বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারের নিখোঁজ হওয়া এবং নির্যাতনের পর আধমরা অবস্থায় তাকে খুঁজে পাওয়া কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করে টিআইবি বলেছে, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে এটি ঘটানো হয়েছে।
সোমবার (০২ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারের নিখোঁজ হওয়া এবং নির্যাতনের পর আধমরা অবস্থায় তাকে খুঁজে পাওয়া মোটেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং মুক্ত সাংবাদিকতা তথা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে চলমান হুমকি, ভয়ভীতি ও নির্যাতনের নিষ্ঠুর ধারাবাহিকতা মাত্র।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী উদ্ধারকালে সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারের আর্তনাদ ‘ভাই, আমাকে মাইরেন না, আমি আর নিউজ করবো না’- শুধুই নির্যাতনে অপ্রকৃতস্থ অসহায় ব্যক্তির আর্তনাদ নয়, বরং সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন এবং সাহসী সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধের ভয়াবহ মধ্যযুগীয় বর্বরতার প্রমাণ। গণমাধ্যমের সার্বিক অবস্থার প্রতিচ্ছবিই যেন ফুটে উঠেছে গোলাম সরোয়ারের এই আর্তনাদের মধ্য দিয়ে!
ড. জামান বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতা বিষয়ে সরকারের বারংবার উচ্চারিত কথামালা শুধুই “রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা” মাত্র!
স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের জেরে সরোয়ারকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়ে থাকতে পারে এমন আশঙ্কার সূত্র ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের আরও বেশ কিছু ঘটনার উদাহরণ আছে, যার কোন সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা বিচারের দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্ত সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা বিষয়ে একাধিকবার তার অঙ্গীকার ও স্বদিচ্ছার কথা বলেছেন! এসব ঘটনার পৌনঃপুনিকতা প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের শুধু অবমাননাই করছে না, বরং মুক্ত সাংবাদিকতার সাংবিধানিক অঙ্গীকারকে ধারাবাহিকভাবে পদদলিত করছে।
=দেশ রূপান্তর