বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম : সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এ পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। এসবের কোনো সমাধান হয়নি। গত ৭ দিন ধরে যেসব মিথ্যা মামলা হয়েছে, এই মিথ্যা মামলায় যাতে গ্রেপ্তার করা না হয় সেজন্য কমিশনকে বলেছি।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নাসিমন ভবনে নগর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে যাবো। রাত ১১টায়, এরপর ভোর রাতে আরও ৮-১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে গতকাল ২০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এই তালিকা নিয়ে আমরা চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যাবো। আমাদের দাবি, এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী পুলিশের দ্বারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করা হচ্ছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার না হলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত এ মেয়র প্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, গত ৭ দিন ধরে যে বিষয়টি লক্ষ্য করছি, কিছু গায়েবি ও সাজানো মামলা করা হয়েছে প্রতিটি থানায়। যে মামলাগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক ছয় মাস আগে থেকে দেখেছি। ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি থানায় ১০টির বেশি মামলা করেছে। এক হাজারের অধিক আসামি করা হয়েছে। ৬৯ জনের অধিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে গতকাল রাত পর্যন্ত।
পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রবিবার রাতে বাকলিয়া থানায় নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিমকে রবিবার রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। সঙ্গে তার ছেলেকেও ধরে নিয়ে যায়। অথচ তার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।