Home শেয়ারবাজার গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের নিট মুনাফা অর্ধেকে নেমেছে

গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের নিট মুনাফা অর্ধেকে নেমেছে

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের নিট মুনাফা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানির পণ্য বিক্রি কমেছে ১২ শতাংশের বেশি। কোম্পানিটি জানিয়েছে, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও চলতি অর্থবছরের বাজেটে কাস্টমস ডিউটি বাড়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এ কারণে পরিচালন আয় আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের পণ্য বিক্রি থেকে আয় হয় ৯৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১০৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে উৎপাদন ব্যয় ছিল মোট বিক্রির ৩৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা চলতি বছরের একই সময়ে ৫৫ দশমিক ১৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম।

ট্রেডিং ব্যয় ও অন্যান্য খাতে খরচের পর চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫ লাখ টাকায়, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এ সময় অন্যান্য খাত থেকে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সুদবাবদ ব্যয় ও কর পরিশোধের পর এ সময়ে নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

চলতি তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৩ টাকা ৫ পয়সা। চলতি বছরের ৯ মাস শেষে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের পণ্য বিক্রি থেকে আয় দাঁড়িয়েছে ২৭৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম।

চলতি বছরের ৯ মাসে পরিচালন মুনাফা হয় ৪৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ সময়ে অন্যান্য আয় হয়েছে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কর পরিশোধের পর কোম্পানির নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

সম্প্রতি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের বাংলাদেশের ব্যবসা অধিগ্রহণ করে ইউনিলিভার ওভারসিস হোল্ডিং বি.ভি., যারা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের নাম পাল্টিয়ে রাখে ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার লিমিটেড। যদিও পরিবর্তিত নাম এখনো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক অনুমোদন পায়নি।