লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় মহিলাসহ ৩ জন গুরুতর আহত
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে: লোহাগড়া ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত মিলন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যদের লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া ইউনিয়নের গত ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চর-বগজুড়ি গ্রামের মৃত রতন আলীর ছেলে মিলন আলী তার বাড়ীর পার্শ্বে ক্ষেতে কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ১০/১৫ জন রামদা, হকি স্টিক, হাতুড়ি নিয়ে মিলন আলীকে ধাওয়া করে। তিনি প্রাণে বাঁচার জন্য দৌড়ে পার্শ্বে মিন্টু আলীর বাড়ীতে আশ্রয় নেন। পেছন দিক থেকে ওই সন্ত্রাসীরা মিন্টু আলীর ঘরের মধ্যে ঢুকে খাটের নিচ থেকে মিলন আলীকে(২৮) টেনে হেঁচড়ে বের করে এনে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ।
এসময় মিলন আলীর চিৎকারে বাড়ীর মালিক মিন্টু আলীর স্ত্রী পারভিন সুলতানা(৩৫) ঠেকাতে গেলে ওই সন্ত্রসীরা পারভিন সুলতানা ও তার ছেলে মেহেদী হাসান(১০)কে পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে আহত মিলন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি আহত পারভিন সুলতানা অভিযোগ করেন, আমি ও আমার দেবর মিলন আলী বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকারের পক্ষে কাজ না করায় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের মারপিট করে বাড়ীঘর ভাংচুর করেছে এবং আমার দেবর মিলন আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ বিলাল বলেন, আহত মিলন আলীর মাথায় ও পায়ে গুরুতর ইনজুরি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমিন খন্দকার বলেন, আমি মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার ও বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল শিকদার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নাজমিন খন্দকার বিজয়ী হন।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ঘটনা শুনেছি, তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে
