Home First Lead ‘সুপার সাইক্লোন’ এখন চট্টগ্রাম থেকে ৯৪৫ কি.মি

‘সুপার সাইক্লোন’ এখন চট্টগ্রাম থেকে ৯৪৫ কি.মি

ঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত স্বেচ্ছাসেবকরা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি তীব্রতা বাড়িয়ে ‘সুপার সাইক্লোন’-এ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার ২২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৮ কিলোমিটার থেকে ১৬৫ কিলোমিটার হলে সেটা ঘূর্ণিঝড়। ১৬৬ কিলোমিটার থেকে ২২০ কিলোমিটার হলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২১ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তখন সেটা সুপার সাইক্লোন।

২১ বছর আগে, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে শেষ বার সুপার সাইক্লোন দেখেছিল বঙ্গোপসাগর। আর এবারের ঘূর্ণিঝড়টি হলো বঙ্গোপসাগরে শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোন।

আবহাওয়ার ২২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুপার ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ আছে।

ভোররাত ৩টায়  ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

মঙ্গলবার শেষরাত থেকে পরদিন বুধবার বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে  সুপার সাইক্লোন বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর কর্মকর্তাদের মতে, যেখানেই এই ল্যান্ডফল ঘটুক, তার আগে যদি একটুও শক্তি না কমায়, তবে এই সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়ার সময়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকতে পারে। আয়লা বা বুলবুলের থেকেও দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়্।