Home আবাসন চট্টগ্রামে আবাসন চাহিদা নিয়ে বিপ্রপাটির ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস

চট্টগ্রামে আবাসন চাহিদা নিয়ে বিপ্রপাটির ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস

প্রপার্টি সল্যুশন প্রভাইডার বিপ্রপার্টি তাদের ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের আবাসন খাতের বর্তমান চাহিদার চিত্র ফুটে উঠেছে। গত ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন-২০২০) বিপ্রপার্টি ডটকম-এ ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তালিকাভুক্ত প্রপাটির সংখ্যা এবং বিপ্রপার্টিতে আসা অনুসন্ধানের সংখ্যার ভিত্তিতে এই ট্রেন্ড অ্যানালাইসিসটি তৈরি করা হয়েছে।

বিপ্রপার্টি পরিচালিত এই ট্রেন্ড অ্যানালাইসিসের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকাটি মানুষের বসবাসের জন্য পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে। উক্ত সময়সীমার মধ্যে বিপ্রপাটির মাধ্যমে যত প্রপার্টি খোঁজা হয়েছে তার মধ্যে ১৩.৩২ শতাংশই বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার। এরপরেই চট্টগ্রামের খুলশী এলাকার প্রপার্টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন ১১.৯৭ শতাংশ গ্রাহক। আর ৬.৩৭ শতাংশ মানুষ নগরীর ডাবল মুরিং এলাকার বাসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, যেটি এই তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

অ্যানালাইসিসের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের মানুষ ছোট বাসার খোঁজ করেছেন বেশি। গত ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন-২০২০) বিপ্রপাটির মাধ্যমে ৪২.৮৪ শতাংশ মানুষ ১০০০ থেকে ১৫০০ স্কয়ার ফুটের বাসা বেশি খোঁজ করেছেন। আর ৩৮.৭৫ শতাংশ মানুষ ১০০০ স্কয়ার ফুটের কম আয়তনের বাসা খুঁজেছেন। এছাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ স্কয়ার ফুট আয়তনের বাসা খুঁজেছেন মাত্র ১৫.৩৪ শতাংশ মানুষ। রুম সংখ্যার বিবেচনায় চট্টগ্রামের মানুষের মাঝে তিন রুমের বাসার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর উক্ত সময়ে বিপ্রপাটির মাধ্যমে যারা বাসা খুঁজেছেন তাদের ৪৫.৮০ শতাংশই তিন রুমের বাসা চেয়েছেন।

বিপ্রপাটির অ্যানালাইসিসে দেখা গেছে, যারা বসবাসের জন্য নিজের বাসস্থান ক্রয় করতে চান তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২.০১ শতাংশ মানুষের বাজেট ৬২-৭২ লাখ টাকার মধ্যে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে ১৯.৩৮ শতাংশ মানুষের বাজেট ৪২-৫২ লাখ টাকার মধ্যে এবং তৃতীয় অবস্থানে ১৫.৭৭ শতাংশ মানুষের বাজেট ৭২-৮২ লাখ টাকার মধ্যে। এছাড়া নগরীর উত্তর খাটাইল, পাঞ্চলাইশ এবং জামাল খান এলাকায় প্রপার্টি ক্রয়ের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

অ্যানালাইসিসে চট্টগ্রামের মানুষের বাসা ভাড়া নেয়ার সামর্থের একটি গড় চিত্রও উঠে এসেছে। ওই সময়ে যারা বাসা ভাড়া নিতে চেয়েছেন তাদের ৩০.২৬ শতাংশই ১০ হাজার-১৫ হাজার টাকা, ২১.৮১ শতাংশ ১৫ হাজার ২০ হাজার টাকা এবং ১৯.৯৭ শতাংশ ১০ হাজার টাকার কম মূল্যে বাসা ভাড়া নিতে চান। বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের কোতোয়ালি, পশ্চিম ষোলশহর এবং উত্তর পাহাড়তলীর প্রপাটির চাহিদা খুবই দ্রুত বাড়ছে।

এই প্রতিবেদন সম্পর্কে বিপ্রপাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক নসওয়ার্দি বলেন, “চট্টগ্রামের আবাসন খাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে গত বছর থেকে চট্টগ্রামে বিপ্রপাটির কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এখানকার আবাসন খাত ক্রমবর্ধমান। প্রতিমাসে গড়ে আমাদের কাছে এক হাজার ভেরিফাইড প্রপাটির রিকয়েস্ট আসে। এই ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস আমাদের চট্টগ্রামের প্রপাটির চাহিদাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। আমরা আশাবাদী যে এখন থেকে গ্রাহকদের চাহিদা আরও আন্তরিকভাবে পূরণ করতে পারবো।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।