Home চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত ২৪ হাজার ছাড়ালো

চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত ২৪ হাজার ছাড়ালো

  • শহরের ১৮ হাজার ৬ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৪৭ জন

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সোমবার ১৮৩ জন নতুন শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। এদিন করোনাক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৮৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৫৫ জন ও নয় উপজেলার ২৮ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৪ হাজার ৫৩ জন। এর মধ্যে শহরের ১৮ হাজার ৬ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৪৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জন রাউজানে, ৭ জন হাটহাজারীতে, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং বাঁশখালী, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
সোমবার করোনাক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৩১৫ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২২১ জন ও গ্রামের ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪৬৩ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৫৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৪৩৯ জন। বাসায় থেকে ১৬ হাজার ৫১৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন, ছাড়পত্র নেন ৫০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২১৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৯২ জনের নমুনার মধ্যে ৮০ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩৯ জনের দেহে করোনারভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৫২টি নমুনায় ১১টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৪টিরই রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়ালে ৭৯টি নমুনায় ২৩টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২০টির ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। অপর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, চমেকে ১৬ দশমিক ২৬, চবি’তে ৩৭ দশমিক ১৪, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ১৫, ইম্পেরিয়ালে ২৯ দশমিক ১১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। অন্যদিকে, আরটিআরএল-এ শতভাগ এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে শূন্য শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়।

-বাসস