Home First Lead চট্টগ্রামে ‘স্মার্ট নগর ভবন’ নির্মাণ অনেক দূর

চট্টগ্রামে ‘স্মার্ট নগর ভবন’ নির্মাণ অনেক দূর

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম:  সিটি কর্পোরেশনের ‘নগর ভবন’ নির্মাণ আবারও অনিশ্চয়তার মুখে। তবে আন্দরকিল্লায় পুরনো ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য টেন্ডার হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন নগর ভবন নির্মাণ করতে চায় সিটি কর্পোরেশন। এ লক্ষ্যে প্রকৌশল বিভাগ ‘নগর ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প ছক) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।  ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন মাস মেয়াদের এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২০২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

তা পাওয়ার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘স্মার্ট নগর  ভবন ’ নির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানোর নির্দেশনা দেয়। কর্পোরেশন আবারো নতুন স্মার্ট নগর ভবন- এর প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তা এখনও সেখানে। প্রকল্পটি কখন অনুমোদন হবে তা জানা নেই কারো। তবে কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন অনুমোদন পাওয়ার।

কর্পোরেশনের সব অফিস টাইগার পাসে স্থানান্তর করা হয়েছে। আন্দরকিল্লার  পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙার কাজ শুরু হতে পারে।

কর্পোরেশনের প্রধান  প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ এ প্রসঙ্গে বিজনেজটুডে২৪ কে জানিয়েছেন, নগর ভবন প্রকল্পটি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে। প্রথম যেটা পাঠানো হয়েছিল সেটা বাতিল করে নতুন স্মার্ট নগর ভবন একল্প তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়।  এরপর স্মার্ট প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন এ প্রকল্পের ব্যায় ২০২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

নতুন প্রকল্পে যা রয়েছে

প্রকল্পের ডিপিপি থেকে জানা যায়, ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৪ বর্গফুটের ২৩ তলা সিটি ভবনের ২ বেইজমেন্ট ও ফাউন্ডেশনসহ ২৩ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কাজে ব্যয় হবে ১১৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। ফার্নিচার সরবরাহসহ ইন্টেরিয়র কাজে ব্যয় ২৫ কোটি, ৬টি লিফট সরবরাহ ও স্থাপনে ৬ কোটি টাকা,  ২০০টি এয়ারকুলার সরবরাহ ও স্থাপনে ২ কোটি টাকা,  ১টি সাব স্টেশন, জেনারেটর এবং সোলার প্যানেল সরবরাহ ও স্থাপনে ৪ কোটি টাকা,  ২টি অফিস বাস ২ কোটি টাকা, ৩টি এরিয়াল লিফট ৬ কোটি টাকা, ৩টি ওয়াটার ভাউজার ৬ কোটি টাকা, ১৪টি ডবল কেবিন পিক আপ ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ৮টি জিপ ৫ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং ১টি জীপ (পাজেরো) ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

প্রকল্পের ডিপিপিতে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হচ্ছে নাগরিক সুবিধাদি নিশ্চিত করা এবং নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। নগরবাসীর আকাঙ্খা অনুযায়ী সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কাজের সুষ্ঠু  পরিবেশ নিশ্চিত করা।