বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: এ বছরে পিছিয়ে রয়েছে চায়ের উৎপাদন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২২টি বাগানের মধে্য ১২টিতে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন কম। অন্য ১০টিতে বেড়েছে সামান্য।
বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর আবহাওয়া ছিল চা উৎপাদনের প্রতিকূলে। প্রধানত এ কারণে বাগানগুলো প্রত্যাশিত ফলন পায়নি। আগস্টে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সূর্যতাপ পায়নি বাগানগুলো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশেনের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে উৎপাদিত হয়েছে ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার কেজি। গত বছরে জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে উৎপাদিত হয়েছিল ৯৪ লাখ ৪৪ হাজার কেজি।
এবছরে ১০ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন কমেছে ১০ লাখ ৭৪ হাজার কেজি। কেবল অক্টোবরে ফলন কম হয়েছে ৬.৩৩ শতাংশ ।
বাগান নির্বাহীরা জানান, কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টি এবং পর্যাপ্ত রোদ না থাকায় প্রত্যাশিত চা তৈরি হয়নি। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাতা তোলা হয়। তবে, সবচেয়ে বেশি হয় জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। চয়নের ভর মওসুম এই ৪ মাস। আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ চা শিল্পের জন্য দফায় দফায় হুমকি হয়েছে । তাতে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাগানসমূহের মধ্যে ১০টিতে জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাগানগুলো হলো: আন্ধারমানিক, হালদাভ্যালি, উদালিয়া, রামগড়, মাজান,কোদালা, খৈয়াছড়া, দাঁতমারা, রাঙাপানি এবং ওয়াগগাছড়া। অপর ১২ বাগানের মধ্যে বারমাসিয়া এবং এলাহিনূরে গত বছরের তুলনায় ফলন ৩৬ শতাংশ কম হয়েছে।
বারমাসিয়ায় ৩লাখ ৫০ হাজার কেজি কম তৈরি হয়েছে। এ বছরে সেখানে মোট চা হয়েছে ৬ লাখ কেজি। ২০১৯ সালে একই সময়ে হয়েছিল সাড়ে ৯ লাখ কেজি। একই ভাবে এলাহিনূর টি এস্টেটে ১ লাখ ৩৭ হাজার কেজি উৎপাদন কমেছে। জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে মোট চা তৈরি হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার কেজি। গত বছরে একই সময়ে হয়েছিল ৩ লাখ ৭৩ হাজার কেজি।
গত বছর দেশে রেকর্ড পরিমানে চা উৎপাদিত হয়েছিল। ৯ কোটি ৬৭ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। চলতি বছরে উৎপাদন লক্ষ্য ৭ কোটি ৭০ লাখ কেজি।