চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এরআগে তারা নগরীর ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরমধ্যে ৫৭টি স্পট থেকে নমুনা পরীক্ষা করে ১৫টি স্পটে শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।
রোববার গবেষক দলের আহ্বায়ক চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বাসসকে জানান গত ৫ জুলাই থেকে এ জরিপ চালান গবেষকরা। চলতি মাসে এ গবেষণার রিপোর্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে অনুরোধ করে চসিক। ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূইয়াকে আহ্বায়ক ও ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুককে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন ভিসি।
সদস্যরা হলেন রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এইচএম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী।
সর্বশেষ গত ২২ জুন বাজেট পাশ হলে ৫ জুলাই থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেন গবেষকরা। এরপর টানা ২৫ দিন ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরীর ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করেন। এতে ১৫টি স্পটে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস। বিভিন্ন এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের।
গবেষকদলের আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, মশার আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতায় কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। এরপর ৫ জুলাই থেকে ওই কমিটি ৫৭টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।-বাসস