রূপাঞ্জন গোস্বামী: সীতাকুণ্ড পাহাড়ের পরতে পরতে আছে রহস্য। চন্দ্রনাথ মন্দিরের পিছন দিক থেকে অত্যন্ত সংকীর্ণ একটি পাকদণ্ডি পথ নেমে গিয়েছে পাহাড়ের সবচেয়ে দূর্গম স্থানে। পথের পাশেই বিশাল খাদ। পা পিছলে গেলে মৃত্যু অনিবার্য। এই পথে পার হতে হয় পাহাড়ি ঝর্না। ভয়ঙ্কর ও রোমাঞ্চকর পথের শেষে, গা ছমছম করা পরিবেশে বিরাজ করেন মা ‘পাতালকালী’।একটি প্রকাণ্ড কালো পাথরের গায়ে উল্টোভাবে খোদাই করা আছে দেবী কালিকার মূর্তি। তাই দেবীর নাম ‘উল্টাকালী’।
কীভাবে এই পাথরটি এখানে এসেছিল, কেনই বা কালীমুর্তিটিকে উল্টোভাবে পাথরের গায়ে খোদাই করা হয়েছিল, তার উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র এই স্থানটি। তবুও উল্টাকালীর কাছে আসেন না বেশিরভাগ তীর্থযাত্রীই। কারণ দুর্গম ও ভয়াবহ এই পাহাড়ি পথ সবার জন্য নয়। এ ছাড়াও এই এলাকায় ডাকাতেরও উপদ্রব আছে।
তাই চন্দ্রনাথ ধামে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এলেও পাতালকালীর দর্শন করার সৌভাগ্য বেশিরভাগ তীর্থযাত্রীরই হয় না। তাই সীতাকুণ্ড পাহাড়ের এই অংশটি আজও প্রায় অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। তবে কালীপুজোর দিন ‘উল্টাকালী’ থানে জাঁক জমক করে মায়ের পুজো হয়। সেদিন প্রচুর তীর্থযাত্রী যান ‘উল্টাকালী’কে দর্শন করতে।