বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:সাবেক মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী সাবেক বিচারপতি মো.তাফাজ্জাল হোসেন খান (টিএইচ খান)রবিবার সন্ধ্যায় স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর।তিনি বার্ধক্যজনিত জটিলতাসহ নিউমনিয়ায় ভুগছিলেন।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রবিবার ভোরে তাকে রাজধানীর কল্যাণপুরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।এরপর তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ঔটি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রবীণ এই বিচারপতির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
দেশ বরেণ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই আইনবিদ ১৯২০ সালের ২১শে অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। বিচারপতি টি এইচ খানের প্রকৃত নাম তাফাজ্জাল হোসেন খান। তিনি ১৯৬৮ সনে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ই নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এই পদে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান।
গুণী এই আইনজীবীর ৩ ছেলে ও এক মেয়ে। আফজাল এইচ খান, ফজলে এলাহী খান এবং ফায়সাল এইচ খান। বড় ছেলে এডভোকেট আফজাল এইচ খান সিনিয়র সাংবাদিক ও ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। আর ফয়সাল এইচ খান আইন পেশায় নিযুক্ত আছেন। মেজো ছেলে ফজলে এলাহী খান চাকরি করছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। একমাত্র মেয়ে ডা. মাহমুদা ফাতেমা খান ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চিকিৎসক। ২০১১ সালের ১৭ই মে টি এইচ খানের স্ত্রী বেগম রওশন আরা জোবায়দা খানম মারা যান।