নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: জেলার উলিপুরে আটারো পাইকার গ্রামের ইট ভাটার মালিক ছখিনা বেগম, এর কাছে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে টাকা না পেয়ে তার মালিকানাধীন ইটের ভাটায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের আটারো পাইকার এলাকায় তার মালিকানাধীন ইটের ভাটা জিমি ব্রিকস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইব্রাহিম তার ছোটভাই ফুলবাবু বাহিনী নিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলো।
ঘটনা পরিদর্শন করলে জানাযায়, ১১ মার্চ আনুমানিক দেড়টার দিকে ৪০ হাজার ইট কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে গাড়ি লোড করে পাঠান। সব গাড়ি গেলেও তিনটি গাড়িকে আটক করে দেন মন্ডলেরহাট বাজারের উত্তরে ২৫ গজ দূরে। রামেশ্বর গ্রামে ইব্রাহিম ও ফুলবাবু তার বাহিনী লোকজন নিয়ে তার বাড়ির সামনে তিনটি গাড়িকে আটক করে দেন। গাড়ি চালকের নাম মো. রফিকুল ইসলাম (২৮), পিতা মো. জলিল সরকার, গ্রাম আটারো পাইকার, মো. শাহিন মিয়া (২৫), পিতা মো. কুদ্দুস আলী, মো. শাহেদুল ইসলাম(২২), পিতা আবুল হোসেন এবং ড্রাইভারদের উপরে বেধড়ক গালিগালাজ করেন। পরে ফুলবাবু বড় ভাই ইব্রাহিম বাড়ি থেকে রামদা নিয়ে এসে ড্রাইভার দের উপর কোপানো খুন করার বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিলে কোনরকম প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসে তারা।
পরে কোনো আশ্বাস না পেয়ে ইব্রাহিম ও তার ছোট ভাই ফুলবাবু তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে ইটভাটায় এসেই ছখিনা বেগম ও তার ছেলে ওবাইদুল ইসলামসহ ম্যানেজার মো. মজিবর রহমানকে( ৪০) বেধড়ক মারধর করে এবং ভাঙচুর চালায়।
পরে ৫ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা জিমি ব্রিকস এর অফিস কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ক্যাশ বাক্সের তালা ভেঙে ইট বিক্রি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ফুলবাবু জানান, আমি সাইদুর এর কাছে কিছু টাকা পাই , একাধিকবার বলার পরেও টাকা দিচ্ছে না এই কারণে তার তিনটি গাড়ি আমি আটক করি কিন্তু তার ইটভাটার অফিস ভাঙচুর করিনি আমি বা আমার লোক করেনি ৷
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷
রিপোর্ট করা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।