চট্টগ্রাম: স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি শুক্রবার নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসণে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের চাক্তাইখালের পুরোন ব্রীজ ও খালের মুখের স্লুইস গেইট অংশবিশেষ পরিদর্শন করেন। খালের মুখের প্রশস্ততার সংকীর্ণতা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রশস্ততা যতটুকু বড় হওয়া উচিত তা হয়নি। এত জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কার্যকারিতা ক্ষুন্ন হওয়ার আশংকা আছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে খালের মুখের প্রশস্ততা বাড়াতে হবে।
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা ও কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। যে-কোন মেগা প্রকল্প বাস্তাবয়নে উপকার ভোগীদের সাময়িক ভোগান্তি হবেই। বড় কিছু প্রাপ্তির আশায় সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নিতে হয় এবং এটাই বাস্তবতা। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রকল্পের গুণগত মান রক্ষা করা এবং এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের বড় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
সাংবাদিদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোন ভরাট খাল পুনরুদ্ধার বা নতুন কোন খাল খনন করার প্রয়োজন হলে সক্ষমতা সাপেক্ষে সিটি কর্পোরেশন করতে পারে।
এই সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, ওয়াসার এমডি এ.কে এম ফজলুল্লাহ, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ্ আলী, চসিক পানি ও বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোরশেদ আলম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দঃ হালিশরের বড় নালা অবৈধ দখল মুক্ত হলো
নগরীর ৩৯নং দক্ষিণ হালিহর ওয়ার্ডে সিমেন্ট ক্রসিং হাসপাতাল গেইটস্থ জেলে পাড়ায় বড় নালার উপর দেড় কিলোমিটার অংশ জুড়ে থাকা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনের নেতৃত্বে পরিচালিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের একটি দল গত দু’দিন ধারে অভিযান চালিয়ে সম্পূর্ণ নালাটি দখল মুক্ত করেন।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি