বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বরিশালের বাকেরগঞ্জে চার শিশুর বিরুদ্ধে দায়ের ধর্ষণ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই চার শিশু এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেয়।
শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদন নজরে আসলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার চার শিশুর জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে তাদের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে বাড়ি পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
হাইকোর্টের আদেশের পর রাতেই চার শিশুকে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে যশোর জেলা প্রশাসন। পরদিন সকাল ৮টার দিকে বাকেরগঞ্জের রুনশী গ্রামে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে চার শিশুকে জামিন না দিয়ে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এনায়েত উল্লাহকে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয় ওই আদেশে।
একই সঙ্গে চার শিশু, তাদের অভিভাবক এবং বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্বশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়াসহ ধর্ষণের শিকার শিশুর মেডিকেল প্রতিবেদন চাওয়া হয় হাইকোর্টের আদেশে।
এর প্রেক্ষিতে রবিবার ওই ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
শুনানি নিয়ে চার শিশুর মামলার কার্যক্রম স্থগিত, শিশু ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিচারককে হাইকোর্টে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত। আগামী ২২ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এজলাসে কার্যক্রম শুরুর আগে বেঞ্চের দুই বিচারপতি তাদের খাস কামরায় চার শিশুর বক্তব্য শোনেন।
বাকেরগঞ্জে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৬ অক্টোবর শিশুটির বাবা বাকেরগঞ্জ থানায় চার শিশুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, খেলার সাথী ওই শিশুটিকে গত ৪ অক্টোবর বিকেলে বাগানে খেলার সময় তাকে তিন শিশুর সহযোগিতায় এক শিশু ধর্ষণ করে। শিশুদের মধ্যে একজনের বয়স ১১ বছর এবং অন্য তিনজনের বয়স ১০ বছর।
এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর বিকালে বাকেরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করার পর বিচারক চার শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।