Home Second Lead উত্তরাঞ্চলের মোকামে অস্থির চালের বাজার

উত্তরাঞ্চলের মোকামে অস্থির চালের বাজার

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ইশ্বরদী: এখানে চালের মোকামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম ৫০ কেজির বস্তায় ৪০০-৭০০ টাকা আর কেজিতে ৮/১৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে বলে চাতাল মালিক ও চালকল মালিক সমিতি জানিয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ চাল মোকাম ইশ্বরদী। অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫০ কেজি বস্তার মিনিকেট সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, ব্রি আটাশ ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা, বাসমতি ৩ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকা, লাল টোপা বোরো ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা এবং গুটি স্বর্ণা ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট প্রতি কেজিতে আট টাকা, আটাশ ১০ টাকা, বাসমতি ১৪ টাকা, লাল টোপা বোরো আট টাকা এবং স্বর্ণার দাম ১৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।  সম্পদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মনজুর আলম জানান, মোকামেও ধানের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। রাজশাহীর তানোর মোকাম হতে এক গাড়ি ধান আনতে আগে ট্রাক ভাড়া ছিল ১০ হাজার টাকা। এখন বেড়ে ১৪ হাজার হয়েছে। কিশোরগঞ্জ মোকাম হতে ধান আনার ভাড়া ছিল ১৩-১৪ হাজার টাকা। এখন ২১ হাজার টাকা হয়েছে।

ঈশ্বরদী চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জুলমত হায়দার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ট্রাক ভাড়া অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সরকার চাল আমদানির জন্য কর প্রত্যাহার করেও কোনো লাভ হয়নি। ডলারের দাম এলোমেলো। ডলারের বর্তমান দামে চাল আমদানি করলে লোকসান হবে। তাই আমদানিকারকরা কেউ এলসি করছে না। ধানের মোকামের মজুতদাররা যখনই দেখেছে চাল আমদানি হচ্ছে না, তখনই সুযোগ বুঝে ধানের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, অটো মিলমালিকদের কাছে ধানের বিপুল মজুত থাকায় তারা বেশি লাভবান হচ্ছেন। বেকায়দায় পড়েছে হাসকিং মিলের মালিকরা। ঈশ্বরদীর তালিকাভুক্ত সাড়ে ৩০০ মিলের অর্ধেক ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। তালিকাভুক্ত ছাড়াও আরো তিন শতাধিক মিল-চাতাল রয়েছে। তাদেরও একই অবস্থা বলে তিনি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘মজুতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভোক্তা অধিকারকে এই বিষয়ে মনিটরিং করার জন্য বলা হয়েছে। সুযোগ পেলেই ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এক বার বাড়লে সেটা কমে না। তাদের অজুহাতের তো কোনো শেষ নেই।’