বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে ১৯ প্রতিষ্ঠান চাল আমদানি করবে। এ ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসিও খুলতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে ২ লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানি করবে। ইতোমধ্যে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠিও পাঠিয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের মজুত বাড়াতে আমদানিরেএমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বেসরকারিভাবে চাল আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে সরকার।
চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ময়মনসিংহ থেকে মেসার্স মজুমদার ট্রেডার্স ৫০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
এছাড়া যশোরের মেসার্স মজুমদার অ্যান্ড সন্সকে ২০ হাজার টন, মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, মেসার্স সুশান্ত কৃষ্ণ রায় ১০ হাজার টন, মেসার্স গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ ৫ হাজার টন, সাতক্ষীরা থেকে মেসার্স মজুমদার এন্টারপ্রাইজ ২৫ হাজার টন, মেসার্স নিশাত ইন্টারন্যাশনাল ১৫ হাজার টন, গাইবান্ধা থেকে মেসার্স প্রধান ট্রেডার্স ৫ হাজার টন চাল আমদানি করতে পারবে।
অন্যদিকে পাবনা থেকে পূর্বাশা ট্রেডিং ৫ হাজার টন, দিনাজপুর থেকে মেসার্স ইউনাইটেড রাইস মিল ৫ হাজার টন, চাপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স হোসেন ট্রেডার্স ১০ হাজার টন, মেসার্স নজরুল সুপার রাইসমিল ১০ হাজার টন, মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স ৫ হাজার টন, মেসার্স নবাব ফিড প্রোডাক্টস ১০ হাজার টন, শেরপুর থেকে মেসার্স এবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১০ হাজার টন অনুমতি পেয়েছে।
চট্টগ্রামের আল আমিন এস্টাব্লিশমেন্ট ৫ হাজার টন, মেসার্স সামছুল আলম ১০ হাজার টন, মেসার্স এস অ্যান্ড কোং ১০ হাজার টন, বগুড়ার ফিরিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বরাবরে পাঠানো চাল আমদানির চিঠিতে বলা হয়েছে, আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানাবিশিষ্ট সিদ্ধ চাল (বাসমতি ছাড়া) শর্তসাপেক্ষে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হলো।
চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, এই বরাদ্দপত্র ইস্যুর ৭ দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত সব তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে তাৎক্ষণিকভাবে।
ব্যবসায়ীদের যারা ৫ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে শতভাগ চাল বাজারজাত করতে হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ৫০ হাজার টন আমদানির অনুমতি পেয়েছেন তাদের ঋণপত্র খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং এক মাসের মধ্যে সব চাল বাজারজাত করতে বলা হয়েছে।