আমদানিকারক মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ললিত কেশরা জানিয়েছেন, ‘দেশে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চাল আমদানি করা হচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের নামে সোমবার ভারতীয় তিনটি ট্রাকে প্রায় ১৩১ মেট্রিকটন চাল আমদানি করেছি। এখন প্রতিদিনই চাল আমদানি হবে।’
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, দিনাজপুর: শুল্ককর প্রত্যাহারের পরপরই চাল আমদানিকারকরা ঋণপত্র ( এলসি ) করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। প্রতিবেশি ভারত থেকে স্থলপথে আমদানি ফের শুরু হয়েছে। সোমবার প্রথম চালানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৩১ টন আমদানি হয়েছে।
চালের ওপর৬২ শতাংশ শুল্ককর আরোপ করা হয়। এতে গত বছরের ৩০ মার্চ থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। চালের বাজারে উর্ধ্বগতিতে সরকার গত ৩১ অক্টোবর সম্পূর্ণ শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ১৩ আমদানিকারক এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাল আমদানিতে ৬২.৫ ভাগ শুল্ক থাকায় ও আমদানির অনুমতি না থাকায় ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকার দেশের বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
টানা ১ বছর ৭ মাস ১০ দিন পর হিলি দিয়ে শুরু হল চাল আমদানি। সোমবার বেলা ১২ টায় ৩ ট্রাকে ১৩১ টন আমদানি হয়েছে। স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনাল আমদানি করেছে। ২০২৩ সালের ৩০শে মার্চ সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয়েছিল।
স্থলবন্দরের আমদানিকারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৫ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩৩ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। বর্তমানে ভারতে ৪২০-৪৩০ ডলারে এলসি করে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তাতে সব খরচসহ প্রতি কেজি পড়ছে ৫৩-৫৪ টাকা।
আমদানিকারক মেসার্স সায়রাম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ললিত কেশরা জানিয়েছেন, ‘দেশে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চাল আমদানি করা হচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠানের নামে সোমবার ভারতীয় তিনটি ট্রাকে প্রায় ১৩১ মেট্রিকটন চাল আমদানি করেছি। এখন প্রতিদিনই চাল আমদানি হবে।’