Home First Lead মৌসুমের প্রথম চা নিলাম শুরু ৫ মে চট্টগ্রামে

মৌসুমের প্রথম চা নিলাম শুরু ৫ মে চট্টগ্রামে

চা নিলাম। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: নতুন চা নিলাম বর্ষের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। সে অনুসারে এবারে ( ২০২৫-২০২৬ নিলাম বর্ষ) চট্টগ্রামে নিলাম সংখ্যা কমেছে এবং শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে। সেখানেও চট্টগ্রামের একই সংখ্যক নিলাম করার সিদ্ধান্ত হযেছে। পঞ্চগড়েও নিলাম বৃদ্ধি করা হয়েছে দুইটি।

আগামী ৫ মে থেকে নিলাম শুরু হবে। প্রথম চা নিলামটি হবে চট্টগ্রামে। গত ১৬ এপ্রিল চা বোর্ডের টি সেলস কো অর্ডিনেশন কমিটির সভায় ৩টি কেন্দ্রের নিলাম কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। সে অনুসারে আন্তর্জাতিক চা নিলামের সময়সূচি প্রণয়ন করেছে বোর্ডের বাণিজ্য শাখা।

চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রে   এবারে মোট নিলাম হবে ৪৮টি। গত মওসুমে এই সংখ্যা ছিল ৪৯। শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রে ছিল ২৫টি। সেক্ষেত্রে এবারে সেখানেও চট্টগ্রামের মত ৪৮ টি চা নিলাম করার কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র পঞ্চগড়ে ২৬ টি নিলামের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। গত মওসুমে সেখানে নিলাম হযেছিল ২৪টি।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রে প্রথম নিলামের ক্যাটালগ ক্লোজিং ২৬ এপ্রিল। শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রে প্রথম নিলাম হবে আগামী ৭ মে। ক্যাটালগ ক্লোজিং ২১ এপ্রিল। অপরদিকে, পঞ্চগড় কেন্দ্রে ক্যাটালগ ক্লোজিং ২০ এপ্রিল। সেখানে প্রথম নিলাম ৬ মে।

চট্টগ্রামে সব কটি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে সপ্তাহের সোমবার। শ্রীমঙ্গলে ৪৫টি হবে বুধবারে। অপর ৩টি নিলামের দুইট মঙ্গলবারে এবং একটি বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চগড়ে ২৫ নিলাম মঙ্গলবারে একটি বুধবারে করার কর্মসূচি রয়েছে। ২০১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নিলামকেন্দ্র চালু হয়। আর ২০২৩ সালে পঞ্চগড়ে চালু হয় তৃতীয় নিলামকেন্দ্র। তবে এখনো বেশির ভাগ চা বিক্রি হয় চট্টগ্রামের নিলামে।

বাগানে উৎপাদিত সমূদয় চা নিলাম বাজারের মাধ্যমে বেচতে হয়। চা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া বাগান বা ক্ষুদ্রায়তন বাগানে উৎপাদিত চা সরাসরি বিক্রি বা রপ্তানি করা যায় না। ১৯৪৯ সালের ১৬ জুলাই চট্টগ্রামে প্রথম চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।  শুরুতে পাক্ষিক নিলাম হলেও ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।  চা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন, টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ও স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন ৩ কেন্দ্রে নিলাম পরিচালনা করে।

আন্তর্জাতিক নিলামে বিক্রি হওয়া চায়ের সিংহভাগই রপ্তানি হতো এক সময়ে। তখন বিদেশি ক্রেতাদের পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা নিলামে অংশ নিতেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে  দেশে ভোগ বেড়ে যাওয়ায় নিলাম থেকে কেনা চায়ের বেশির ভাগ এখন দেশে বাজারজাত হচ্ছে।