বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি
সিলেট: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০২ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা হয়েছে। এ চুক্তি কার্যকরে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সকল বর্ধিত মজুরি পাবেন চা শ্রমিকরা। আপাতত চা শ্রমিকদের বকেয়া হিসেবে ৩ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে থেকে দেশের সব চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছে শ্রমিকরা। চা শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন জাগরণ যুব ফোরাম সভাপতি মোহন রবিদাস বলেন, শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি দাবি করেছে ৩০০ টাকা। আর মালিক পক্ষ দিচ্ছে ১২০ টাকা করে। এ সিদ্ধান্ত অমানবিক দাবি করে তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের নিয়ে নতুন করে আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা চলছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় লেবার হাউস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শ্রীমঙ্গলস্থ প্রফিডেন্ট ফান্ড অফিসে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও চা বাগান মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশি চা সংসদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক শুরু হয়। টানা ১১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত আসে।
বৈঠকে শারদীয় দুর্গাপূজার আগেই চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নতুন মজুরি প্রদানের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে, চা সংসদীয় নেতৃবৃন্দ বর্তমান চায়ের বাজারের অবস্থা তুলে ধরে তার ওপর ভিত্তি করে নতুন মজুরির সিদ্ধান্ত নিতে বক্তব্য রাখেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাম ভোজন কৈরি বলেন, এখন চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ১০২ টাকার বদলে ১২০ টাকা পাবেন। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে। এখন আপাতত বকেয়া হিসেবে মজুরির সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা করে চা শ্রমিকরা পাবেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বর্ধিত উৎসব বোনাস পাবে চা শ্রমিকরা।
বৈঠকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সহ-সভাপতি পঙ্কজ কুন্ড ও বালিশিরা ভ্যালি কার্যকরী কমিটির সভাপতি বিজয় হাজরাসহ নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশি চা সংসদের পক্ষে তাহসিন আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।