চট্টগ্রাম: পরিত্যক্ত হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সেবার নাম করে মোটা অংকের চাঁদা আদায়কারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই’ শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগ।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন আজ মঙ্গলবার এই দাবি জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি চট্টগ্রামের কতিপয় চিকিৎসা বেনিয়া সিন্ডিকেটের একটি ভাগাড় মাত্র। শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ রক্ষার জন্য বিদ্যুত ও পানির সংযোগ বিহীন পরিত্যক্ত হাসপাতালটিকে করোনা রোগীদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে সিন্ডিকেটটি। পরিশেষে তাদের সে চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হাসপাতালটিকে করোনা চিকিৎসার উপযোগী করে গড়ে তোলার কথা বলে চট্টগ্রামের করোনা চিকিৎসাকে ভুলপথে পরিচালিত করেছে রোগ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তাদের কারণে অনেকেই বিনা চিকিৎসায় নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। অথচ আমরা বার বার দাবী জানিয়েছিলাম ঐ পরিত্যক্ত হাসপাতালটিতে কোনভাবেই করোনা চিকিৎসা সম্ভব নয়। তারপরও অনেকটা গায়ের জোরে ঐ হাসপাতালটিকে করোনা চিকিৎসার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে উদ্বোধন করা হয়েছে।
হাসপাতালের সামান্যতম সেবাও দিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ময়লা দুর্গন্ধ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গিয়ে মৃত্যুর আগেই যেন মৃত্যুপূরীতে প্রবেশ করছে রোগীসাধারণ। জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে এ ধরণের অবহেলা ও তামাশা কোনভাবেই কাম্য নয়।
খোরশেদ আলম সুজনের অভিযোগ: হাসপাতালটি চালু করার জন্য নগরীর ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকেও মোটা অংকের চাঁদা আদায় করেছে ঐ সিন্ডিকেটটি। এরপরও হাসপাতালটি পরিপূর্ণভাবে চালু করতে না পারার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবী করেন তিনি। অবিলম্বে ঐ হাসপাতালটি বন্ধ করে যাবতীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি কোভিড চিকিৎসায় সক্ষম কোন হাসপাতালে স্থানান্তর করে মানুষের জীবন রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগ-এর প্রধান উপদেষ্টা।