Home আন্তর্জাতিক চিনকে প্রতিযোগিতায় হারাতে ভারতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আমেরিকাকে

চিনকে প্রতিযোগিতায় হারাতে ভারতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আমেরিকাকে

করোনা বিধ্বস্ত আমেরিকার সামনে লক্ষ্য তিনটি। প্রথমত চিনকে বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় হারানো। দ্বিতীয়ত, আমেরিকায় নতুন চাকরি সৃষ্টি করা। তৃতীয়ত যে দেশগুলি কৌশলগত দিক থেকে আমেরিকার মিত্র, সেখানে বিনিয়োগ বাড়ানো। আমেরিকার মিত্রদের মধ্যে আছে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি এবং ভারত। গত মঙ্গলবার মার্কিন সেনেটে এই লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা চাক শুমার। তিনি ডেমোক্র্যাট সেনেটরদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য প্রয়োজনে আইন আনা হোক।

মঙ্গলবার চাক শুমার বলেন, আমেরিকায় চাকরির সংখ্যা বাড়াতে ও চিনকে প্রতিযোগিতায় হারানোর জন্য সেনেটের বসন্তকালীন অধিবেশনেই তিনি বিল আনতে চান। তাঁর কথায়, আমি সেনেটের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে তারা অবিলম্বে বিলের খসড়া তৈরি করে।  

শুমারের মতে, চিনকে হারাতে গেলে আমেরিকায় এখন সেমিকন্ডাকটর শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কারণ সেমিকন্ডাকটর নানা পণ্যের জন্য আমেরিকা এখনও বিদেশের ওপরে নির্ভরশীল। শুমারের কথায়, “সেমিকন্ডাকটর নির্মাণের ক্ষেত্রে আমেরিকা এখনও অত্যন্ত দুর্বল। এই দুর্বলতা বিপজ্জনক। এর ফলে আমেরিকার অর্থনীতি তো বটেই এমনকি দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে।”

পরে তিনি বলেন, “আমেরিকার গাড়ির কারখানাগুলি এখনও বন্ধ হয়ে আছে। কারণ ওই শিল্পে প্রয়োজনীয় চিপ তারা পাচ্ছে না। চিপ উৎপাদনে চিন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। তাদের প্রতিযোগিতায় হারানোর জন্য আইন আনা হবে।”

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষে অন্তত ২০ টি চিনবিরোধী বিল আনা হয়েছে। সেনেটের ফিনান্স কমিটির শুনানিতে সেনেটর টড ইয়ং বলেন, ট্রেজারি দফতরকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে কেউ অজান্তে এমন কোনও কোম্পানিতে বিনিয়োগ না করেন যার ওপরে চিনের নিষেধাজ্ঞা আছে। ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেনকে চিঠি দিয়ে টড ইয়ং বলেন, গত চার বছর আমেরিকা যে নীতিতে চলেছে, বাইডেন প্রশাসন তা সবই বদলে ফেলতে চায়। আমেরিকানরা অনেক সময় এমন সংস্থায় বিনিয়োগ করেন যার সঙ্গে চিনের সেনাবাহিনীর যোগাযোগ আছে। চিনে উইঘুরদের ওপরে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আছে, এমন সংস্থাতেও আমেরিকানরা বিনিয়োগ করেছেন। ওই সংস্থাগুলি উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র ও নজর রাখার যন্ত্র তৈরি করে।

টড ইয়ং-এর মতে, চিনের প্রধান দুর্বলতা হল, তাদের পক্ষে বড় ধরনের বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। আমেরিকার মূলধনী বাজার অনায়াসে তা পারে। মার্কিন সরকারকে চেষ্টা করতে হবে যাতে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেওয়া যায়।

-ইন্টারনেট