বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই নেয় সিদ্ধান্ত চিনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। জওয়ানদের মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ দিতে তিব্বতে পাঠিয়েছে ২০ জন মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষককে। এমনটাই দাবি চিনা সংবাদমাধ্যমের।
সেই সূত্রেই জানা যায় ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান হামলার আগেই চিন সেনা ডিভিশনে তিব্বতের স্থানীয় ক্লাবগুলি থেকে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষকদের নিয়োগ করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাদাখ ইস্যুর কথা উল্লেখ না করেই বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারত চিনকে জবাব দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “ভারত যেমন বন্ধুত্ব করতে জানে তেমনই প্রয়োজনে চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে পারে।” সেটাই প্রমাণিত লাদাখ সীমান্তের ভারতের প্রস্তুতিতে। চিন যখন স্থানীয় মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষকদের উপরে নির্ভর করছে বলে জানা গিয়েছে তখন ভারতও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষিত ঘাতক কমান্ডোদের মোতায়েন করেছে।
কেমন এই ঘাতক বাহিনী? ভারতের এক সেনা কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একজন ঘাতক কমান্ডোকে কর্ণাটকের বেলগামে ৪৩ দিনের বিশেষ কমান্ডো ট্রেনিং কোর্স করতে হয়। অত্যন্ত কঠিন এই ট্রেনিং। ৩৫ কেজি ওজনের বস্তুা নিয়ে একটানা ৪০ কিলোমিটার দৌড়তে হয়। যা কমান্ডোদের শারীরিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ ছাড়াও হাতাহাতি লড়ার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় এই কমান্ডোদের। তাঁরা মার্শাল আর্টেও বিশেষজ্ঞ। প্রশিক্ষণে কোনও ছুটি থাকে না। যখন তাঁরা কোনও ইউনিটে মোতায়েন থাকেন তখন সেখানেও চলে ট্রেনিং। উঁচু ও মরু এলাকার জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই কমান্ডোদের।