Home Second Lead চিন এবার মহাকাশে পাঠাচ্ছে মহিলা নভশ্চর

চিন এবার মহাকাশে পাঠাচ্ছে মহিলা নভশ্চর

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

মহাকাশে তিন নভশ্চরকে ঘুরিয়ে এনে এর মধ্যেই রেকর্ড করে ফেলেছে চিন। আমেরিকার পরেই চিনের ‘ম্যানড মিশন’ সফল। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বাজিমাত করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

মহাকাশে আরও একবার তিন নভশ্চরকে পাঠাচ্ছে চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, যাদের নেতৃত্ব দেবেন এক মহিলা মহাকাশচারী। পৃথিবীর কক্ষে চিনের নতুন স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ তিনিই দেখাশোনা করবেন।

চিনের শেনঝউ-১৩ মহাকাশযানে চেপে আগামীকাল শনিবার মহাকাশে পাড়ি দেবেন ওয়াং ইয়াপিং (৪১), ইয়ে গুয়াংফু (৪১) ও ঝাই ঝিগ্যাং (৫৫)। নভশ্চরদের প্রশিক্ষক ঝাই ঝিগ্যাং এই মিশনের কম্যান্ডার। তিনি জানিয়েছেন, স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। শূন্য মাধ্যাকর্ষণে মহাকাশচারীদের থাকা ও গবেষণার কাজ কীভাবে চলবে তার তদারকি করবেন মহিলা নভশ্চর ওয়াং ইয়াপিং।

ওয়াং চিনের সেনাবাহিনীতে ছিলেন। পিপলস লিবারেশন আর্মির এই মহিলা কম্যান্ডারকে স্পেস-মিশনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। নভশ্চরের প্রশিক্ষণও দেখা হয় তাঁকে। ২০১২ সালে শেনঝউ-৯ স্পেসক্রাফ্টের ম্যানড মিশনের তিনি সদস্য ছিলেন।

China to send three to new space station | The West Australian

চিনা নভশ্চরদের মহাকাশ পাড়ির অন্যতম উদ্দেশ্য হল স্পেস স্টেশনের কাজের তদারকি করা। পৃথিবীর কক্ষে নিজেদের স্পেস স্টেশন তৈরির জন্য কয়েক বছর ধরেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে চিন। মহাকাশ স্টেশন বানানোর জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে উপগ্রহও পাঠানো হয়েছে যার নাম ‘তিয়াংগং-২’। যা আদতে উপগ্রহ হলেও আগামী দিনে চিনা মহাকাশ স্টেশনেরই একটি প্রোটো-টাইপ। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘জিন হুয়া’ জানাচ্ছে, এ সবই আদতে পাকাপাকি ভাবে চিনা মহাকাশ স্টেশন গড়ে তোলার প্রস্তুতি। যাতে মহাকাশচারীরা থাকবেন। কোনও মহাকাশযান গিয়ে সেখানে নামতেও পারবে। ২০২২ সালের মধ্যে চিনা স্পেস স্টেশন বানানোর কাজ শেষও হয়ে যাবে বলে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে রাশিয়া ও আমেরিকার পরে চিনই হবে তৃতীয় দেশ, যাদের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন থাকবে যার নাম হবে ‘হেভেনলি প্যালেস-২’। দৈর্ঘ্য হবে ১৫ মিটার বা ৪৯ ফুটের কিছু বেশি। মানে প্রায় পাঁচ তলা একটা বাড়ির সমান।

চিন প্রথম মহাকাশযান পাঠায় ২০০১ সালে। আর তার দু’বছরের মধ্যেই প্রথম মহাকাশচারী পাঠায় চিন। চিনের প্রথম মহাকাশচারী ইয়াং লিউই। এ বছর থেকে স্পেস স্টেশনের কাজ শেষ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন চিনের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে হাঁটাহাঁটি করার জন্য মহাকাশচারী পাঠানোর কথাও নাকি ভেবে রেখেছে চিন।