বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভিন্ন মতাবলম্বী উইঘুর মুসলিম নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ায় ইতি টানছে আরব দেশগুলো। ইতোমধ্যে পালিয়ে আসা অভিবাসী প্রত্যাশী উইঘুরদের গ্রেপ্তার করে চীনে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যমে খবর অনুযায়ী, চীনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মিসর সম্প্রতি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অন্তত ১২ জন উইঘুর শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে এবং কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এ ধরনের খবর পাওয়া গেছে। অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে আরব দেশগুলো এবং চীন।
চীন সরকার ২০১৪ সাল থেকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জিনজিয়াং প্রদেশে স্বাধীনতাকামী উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়নমূলক অভিযান চালিয়ে আসছে। কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান ও মঙ্গোলিয়া সীমান্তঘেঁষা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটি ১৯৪৯ সাল থেকে চীনের নিয়ন্ত্রণে।
জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১ কোটি উইঘুর মুসলমানের বসবাস। সেখানে তাদের আধিপত্য টেনে ধরতে চীন সরকার আদিবাসী চাইনিজ হান জাতিগোষ্ঠীর বসতি বাড়াচ্ছে। ফলে দিন দিন সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছে উইঘুররা।
অনেকের দাবি, অন্তত ১০ লাখ উইঘুরকে চীনের বিভিন্ন বন্দিশালায় আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অনেক অধিকার সংস্থার দাবি। এমনতাবস্থায় অনেক উইঘুর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এখন এসব আরব দেশেও তাদের স্বস্তি মিলছে না।
বিবিসি নাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে মিলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো অনেক উইঘুর শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের হয়রানি করছে।