Home জাতীয় চীনে পরিশোধিত চিনি রপ্তানির উদ্যোগ সরকারের

চীনে পরিশোধিত চিনি রপ্তানির উদ্যোগ সরকারের

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

চীন থেকে দেশে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হলেও রপ্তানি হচ্ছে খুবই স্বল্প পরিসরে। এবার দেশটিতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পরিশোধিত চিনি রপ্তানির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে মেঘনা গ্রুপের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুক্তমুক্ত সুবিধায় চিনি রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ-চীন পরবর্তী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিষয়টি এজেন্ডা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে বছরে চিনির চাহিদা রয়েছে ২১ লাখ টন। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই চিনির চাহিদা রয়েছে প্রায় চার লাখ টন। এসব চিনির অধিকাংশই মূলত অপরিশোধিত অবস্থায় আমদানি হচ্ছে। সিটি, মেঘনা, এস আলম, আবদুল মুনেম ও দেশবন্ধু গ্রুপ অপরিশোধিত চিনি আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণ করছে।

তথ্যমতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চীনে রপ্তানি হয়েছে ৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং আমদানি হয়েছে ৮২১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। একইভাবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৮০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, আমদানি হয়েছে ৯৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৯৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার, আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৬৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৬৯ কোটি ২০ লাখ ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৮৩ কোটি ১০ লাখ ডলার, আমদানি হয়েছে এক হাজার ৩৬৫ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৬০ কোটি ডলার, আমদানি হয়েছে এক হাজার ১৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

জানা গেছে, এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (এপিটিএ) আওতায় বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত (এলডিসি) দেশ হিসেবে আট হাজার ৫৪৯টি বা ৯৭ ভাগ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু এই তালিকায় চিনি নেই।

বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আনোয়ার হাবীব বলেন, দেশে যে পরিমাণ চিনি পরিশোধন করা হচ্ছে তাতে দেশে কোনো সংকট হবে না। দেশের চাহিদা পূরণে এককভাবে সিটি গ্রুপেরই উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান দৈনিক পাঁচ হাজার টন চিনি উৎপাদন করতে পারে। এরপর অন্যান্য কোম্পানি তো রয়েছেই। শুক্তমুক্ত সুবিধায় চিনির কাঁচামাল আমদানি করা হলে দাম অনেকটা কমে আসবে। তবে বাংলাদেশে মূলত চিনির কাঁচামাল আসছে ব্রাজিল ও ভারত থেকে। চীন থেকে চিনির কাঁচামাল দেশে আসছে না।