বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছর পর ভারত ও চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে সম্মত হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরির বেইজিং সফর শেষে সোমবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য। চিনের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন ওয়েইতং এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি প্রতিবেশী দেশ দ্বিপক্ষীয় এবং বহু–পক্ষীয় যোগাযোগ শক্তিশালী করার, কৌশলগত যোগাযোগ বৃদ্ধি করার এবং রাজনৈতিক পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নত করার বিষয়ে একমত হয়েছে বৈঠকে।
মহামারির আগে ভারত–চীনের মধ্যে প্রতি মাসে প্রায় ৫০০টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হতো। ২০২০ সালের শুরুতে মহামারির সময় ভারত–চীনের বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়।শুধু তাই নয়, নৈতিক ভাবে সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করা নিয়েও ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে ভারত ও চিন। করোনাকালে এবং পরবর্তীতে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে গত পাঁচ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। নতুন করে তা চালু হতে চলেছে আবার।
প্রত্যেক বছরই জুন থেকে সেপ্টেম্বর মধ্যে ভারত থেকে তিব্বতের মানস সরোবরে যাত্রা করেন ভারতীয় পুণ্যার্থীরা। প্রায় প্রতিবছরই কয়েক হাজার পুণ্যার্থী যান কৈলাসে। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে এই যাত্রা৷ মূলত নাথু লা ও লিপুলেখ পাসের মাধ্যমে ভারত থেকে তিব্বতে প্রবেশ করেন পূণ্যার্থীরা। তারপর কড়া নিরাপত্তা বলয়ে তাঁদের কৈলাস পর্যন্ত নিয়ে যায় চিনা প্রশাসন। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিড অতিমারীর কারণে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা। তবে, গত বছর প্রচুর কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই চিনের তরফে এই যাত্রা শুরুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ফলে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রার খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়।
“ভারত-চিন উভয় পক্ষ ২০২৫ সালের গরমে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কীভাবে তা সম্ভব সেসব দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তারা জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ এবং আন্তঃসীমান্ত নদী সম্পর্কিত অন্যান্য সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারত-চিন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে প্রাথমিক বৈঠক করতেও সম্মত হয়েছে।”