Home First Lead উচ্চ সুদ হার স্থানীয় শিল্পায়নকে বাধাগ্রস্ত করছে: তাসকীন

উচ্চ সুদ হার স্থানীয় শিল্পায়নকে বাধাগ্রস্ত করছে: তাসকীন

বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, ঋণপত্র খোলার জটিলতা, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তিতে পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতা এবং উচ্চ সুদ হার আমাদের স্থানীয় শিল্পায়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। এমতাবস্থায় দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারিখাতের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং কার্যকর বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ডিসিসিআই সেন্টারে রাজধানীর তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক, যানজট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় গুলশান, মহাখালী, বনানী এবং বাড্ডা অঞ্চলের ১৪টি অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা এলসি সমন্বয়ের দীর্ঘসূত্রিতা, ডলারের মূল্যের অস্থিরতা, ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চ হার, ভ্যাট প্রদানে হয়রানি, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ার জটিলতা ও উচ্চ ফি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং অসহনীয় যানজটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ-এফইপিডি) মো. সাইয়েদুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (মূসক বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (গুলশান বিভাগ) মো. তারেক মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কারণে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়ে আমাদের উদ্যোক্তাদের ক্রমশই কঠিনতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, কর ও ভ্যাটের নিয়মিত পরিবর্তন, অগ্রিম আয়কর ও রেগুলেটরি ডিউটির অতিরিক্ত বোঝা, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতার কারণে দেশের বেসরকারিখাতের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট পরিস্থিতির অবনতির কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ) মো. সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, এলসি মার্জিন শতভাগ হবে কিনা, এটি নির্ভর করে ব্যাংক ও ভোক্তার সম্পর্কের ওপর এবং এলসি মার্জিনের বিষয়টি সকল পণ্যের ক্ষেত্রে এক নয়। কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মার্কিন ডলারের মূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামার কারণে আমাদের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনায়নে সরকারি-বেসরকারিখাতের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।

এনবিআর এর প্রথম সচিব (মূসক বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি ব্যবসায়ীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।