বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই দফা মানববন্ধন শেষে প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা পাঁচদফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-
১. যাদের পরীক্ষার রুটিন হয়েছিল, কিন্তু করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি, অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষার নতুন রুটিন ঘোষণা করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
২. হলগুলো শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হোক। এডমিট কার্ডের মাধ্যমে হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক।
৩. হল সমূহ খুলে না দিলেও নিজ নিজ বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার অনুৃমতি দেওয়া হোক।
৪. যাদের ২/৩/৪ টি বা এর বেশি পরীক্ষা হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে শেষ হয়ে যাওয়া পরীক্ষাসমূহের মূল্যায়নকৃত গ্রেডের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হোক, যে পদ্ধতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান অনুসরণ করেছে।
৫. পরীক্ষা ইস্যুতে আটকে না থেকে পরবর্তী বছরের ক্লাস অনলাইনে শুরু করা হোক। যেভাবে ঢাবি, জাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে আটকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগের বিভিন্ন সেশনের পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রণালয় যেভাবে চলমান ছুটিকে বাড়িয়েই যাচ্ছে তাতে অনুমান করাই যায় যে সামনের শীত মৌসুমেও হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না। আর কবে খুলবে তারও নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা নেই। এর ফলে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরাই ইতোমধ্যে সেশনজটে পড়ে গিয়েছি।
ইতোমধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস এবং পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও চবি এখনো অনলাইন ক্লাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ইস্যুতে আটকে না থেকে পরবর্তী সেমিস্টার শুরুর অনুমতি দিয়েছে সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ব্যাপারে এবং পরবর্তী পরীক্ষাগুলো নিয়েও এখনো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে আমরা যারা অসমাপ্ত পরীক্ষা দিতে পারিনি, তাদের কোনো অনলাইন ক্লাসও হচ্ছে না এবং বাকি পরীক্ষা কবে হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। তাই আমরা এই সমস্যা নিরসনে দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগ চাই।’
তারা আরও বলেন, ‘জীবনের নিরাপত্তা অবশ্যই আগে। শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্ভুত সেশনজট সমস্যা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।