Home রাজনীতি ইডেনে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত, অভিযোগকারী ১৬ নেত্রীকে বহিষ্কার

ইডেনে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত, অভিযোগকারী ১৬ নেত্রীকে বহিষ্কার

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি অবস্থানের জেরে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগকারী ছাত্রলীগের ১৬ নেত্রীকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সেইসঙ্গে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে প্রাথমিকভাবে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ৈ, জেবুন্নাহার শিলা, কল্পনা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস, আফরোজা রশ্মি, মারজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখি এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা, সূচনা আক্তারকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।

ওই বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও বলা হয়, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কীসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রশ্ন করলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে এসব নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম, তারা তাতে আস্থা রাখতে পারছে না। তাই আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একটি বডি মিলে এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ঘটনার আরও তদন্ত চলবে।

উল্লেখ্য, সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার কিছু অনুসারী কর্তৃক ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে শনিবার মধ্যরাত থেকে শুরু করে রোববার দিনভর উত্তপ্ত ছিল কলেজ ক্যাম্পাস। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধী পক্ষ রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁদের দুজনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কার দাবি করে। একই দিন সন্ধ্যার আগে কলেজ মিলনায়তনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিনসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তামান্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে কলেজ প্রশাসন ও পুলিশের মাধ্যমে লেগুনায় করে ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়।