বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: ব্যাংক ঋণ নিয়মিত রাখার জন্য বকেয়া কিস্তির ১৫ শতাংশ জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত জমা দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা জানান, এটা ব্যাংকের চর্চার মধ্যেই আছে। কেননা, খেলাপি ঋণের তথ্য প্রস্তুত করা হয় পরের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে। এক্ষেত্রে কোনো গ্রাহক যদি ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে।
বিদায়ী বছরের বকেয়া কিস্তির ২৫ শতাংশ ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করেই খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই পরিমাণ অর্থ ব্যবসায়ীরা জোগাড় করতে পারবেন না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বাড়তি সময় চান।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৯ ডিসেম্বর নির্দেশনা পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের ১৫ শতাংশ পরিশোধ করেই খেলাপি না থাকার সুযোগ দিয়ে ওইদিন রাতেই সার্কুলার জারি করা হয়। কিন্তু এর একদিন পরই ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। শেষ হয়ে যায় বছর।
ফলে অনেকে ওই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের ওই সুযোগটি নিতে পারেননি। তবে ব্যাংকিং চর্চা অনুযায়ী, জানুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত এই সুযোগ দেওয়া যাবে বলে সোমবার ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি)।
গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংক খাতে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য গভর্নর বরাবর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সেই চিঠিতে বলা হয়, করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা এখনো ভয়াবহ অবস্থা পার করছেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায় নতুন বছরে এই ছাড় আর থাকবে না।
করোনাকালীন অর্থনীতির সংকট মোকাবিলায় ২০২০ সালজুড়ে ঋণের কিস্তির এক টাকা শোধ না করলেও গ্রাহককে খেলাপি করতে পারেনি ব্যাংক।