বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: শুক্রবার ভোরে গণধোলাইয়ে দুই ছিনতাইকারি নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন। রাজধানীর চকবাজার থানাধীন চম্পাতলী ঘাট ও কেরানীগঞ্জের নাদু বেপারী ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চকবাজার থানার এসআই সোয়াইব হাসান জানান, ভোরে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে কেরানীগঞ্জ এলাকায় কয়েকজন ছিনতাই করছিলেন। তবে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেন। এতে কয়েকজন পালিয়ে গেলেও তিনজন নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং সাঁতরে চকবাজারের চম্পাতলী ঘাটে চলে আসেন। এ সময় ওপার থেকে স্থানীয়রা চিৎকার করতে থাকেন। তিনজন নদী সাঁতরে চম্পাতলী ঘাটে ওঠলে তাদের মধ্যে দুজনকে আটক করে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা।
তিনি আরও জানান, গণধোলাইয়ের শিকার দুজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে একই ঘটনায় গণধোলাইয়ের শিকার একজনের লাশ কেরানীগঞ্জের নাদু বেপারী ঘাট এলাকায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নৌ-পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন জানান, নিহত যুবকের নাম হাসান। হাসান বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার সুলতানি গ্রামের মানিক মাঝির ছেলে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর মুসলিম নগর কুরবান হাজির বাড়িতে বসবাস করত।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কয়েকজন ছিনতাইকারী ভোরে বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে একজনকে ধরে ফেলে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ অচেতন অবস্থায় থেকে পানিতে মারা গেছে। পাশাপাশি দুইজন নদী সাঁতরে চম্পাতলী ঘাটে পৌঁছে একজন পালিয়ে যায়। দুজনকে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিলে একজন মারা যায়। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ঘটনা শোনার পর আমি আমার অফিসার দিয়ে তদন্ত করে দেখেছি, আমার থানা এলাকায় কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি। একটা লাশ নৌ-পুলিশ, আরেকটা লাশ চকবাজার থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। তারা তদন্ত করে দেখবে আসলে কী ঘটেছিল।