চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান মামলার রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীর মাথায় কথিত আইএসআইএসের আদলে পরা টুপি কোত্থেকে আসলো তার দায় নিচ্ছে না কেউ। এ ঘটনায় গঠন করা কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তদন্ত কমিটির তদন্ত ভিন্ন ভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বুধবার চাঞ্চল্যকর হলি আর্টিজান মামলার রায় ঘোষণা পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মাথায় থাকা আইএস সদস্যদের ব্যবহৃত ঢংয়ের আদলে কালো টুপি পরা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কারা অধিদপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কারা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির সদস্য কারা অধিদপ্তরের ডেপুটি আইজি প্রিজন্স মো. টিপু সুলতান বলেন, ‘কারা বিধি অনুযায়ী, কোনো আসামিকে কারাগার থেকে বের করে আদালতে নেওয়ার সময় এবং আদালত থেকে আবার কারাগারে প্রবেশ করানোর সময় খুবই সতর্কতার সঙ্গে তল্লাশি করে দেখা হয়। আমরা তদন্ত করে দেখেছি, হলি আর্টিজান হামলার রায়ের দিনেও আসামিদের তল্লাশি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তল্লাশি করে কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ সময় জঙ্গিদের কাছে কোনো ধরনের টুপির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।’ এদিকে, এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি কারাগার থেকেই পকেটে করে আদালত প্রাঙ্গনে আইএসের টুপি নিয়ে এসেছিলো জঙ্গিরা। রায় ঘোষণার পরে প্রথমে উল্টো করে পরলেও পরে তা ঠিক করে পরে নেয় দুই জঙ্গি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারপরও ওই ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্যের গাফিলতি ছিল কিনা সেটি তদন্ত করাই আমাদের মূল বিষয়। আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। যদি কারো কোনো ধরনের গাফিলতি পাওয়া যায় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বুধবার হলি আর্টিজান মামলার রায়ে সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আদালত। এক আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাদের মাথায় কোনো টুপি ছিল না। রায় ঘোষণা শেষে হঠাৎ করেই রিগ্যান মাথায় কালো কাপড়ের টুপি পড়ে। রিগ্যান ও অন্য আসামীদের প্রিজন ভ্যানে তোলার পর ভিতরে রাজীব গান্ধীকেও কালো টুপি পড়তে দেখা যায়।