একই দিনে বাড়ির ২ জনের জন্মদিন হলে বিষয়টি কাকতালীয় মনে হয়। তবে যদি দেখেন একই দিনে বাড়ির ৯ জনের জন্মদিন তাহলে কেমন হয়? অবাক হচ্ছেন? শুনতে অবাক লাগলেও পাকিস্তানে আছে এমনই একটি পরিবার।
আর এই বিরল অর্জনে গিনেস বুকে নামও উঠেছে তাদের। বুধবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশের লারকানা শহরের একটি পরিবারের বাবা মা ও ৭ সন্তানসহ ৯ জন সদস্যের জন্মদিন একই দিনে। আর তা হচ্ছে ১ আগস্ট। একই দিনে তারা একসঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করেন। আর সেই বিরল ঘটনার জন্যই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন তারা।
এই পরিবারের সবচেয়ে বড় যিনি, তার নাম আমির আলি। তার স্ত্রীর নাম খুদেজা। দু’জনেরই জন্ম ১ আগস্ট। শুধু তাই নয়, একই দিনে বিয়েও হয়েছিল তাদের। ১৯৯১ সালের ১ আগস্ট বিয়ে হয় আমির-খুদেজার। ঠিক ১ বছর পর ১ আগস্ট জন্ম নেয় তাদের বড় মেয়ে সিন্ধু।
এরপর একে একে জন্ম হয় সাসুই ও স্বপ্না নামে দুই যমজ বোনের এবং আম্মার ও আহমার নামে দুই যমজ ভাইয়ের। আমির এবং আম্বার নামে আরও দুই সদস্য আসে পরিবারে, সেটিও ওই একই তারিখে। তাদের বয়স বর্তমানে ১৯-৩০ বছরের মধ্যে। এটি একই দিনে পরিবারের সবচেয়ে বেশি সদস্যদের জন্মের বিশ্ব রেকর্ড। ইতোমধ্যে এই পরিবারটির নাম উঠেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
১৯৯২ সালের ১ আগস্ট প্রথম সন্তান সিন্ধুর জন্মের পর আমির একইসঙ্গে আশ্চর্য এবং আনন্দিত হয়েছিলেন। কারণ সেদিন তার এবং তার স্ত্রীরও জন্মদিন ছিল।
আমির জানান, তিনি এবং খুদেজা বিস্মিত হয়েছিলেন যখন পরপর প্রতিটি সন্তান একই তারিখে জন্মগ্রহণ করে। তারা এটাকে ‘আল্লাহর দান’ হিসেবে দেখছেন। সব সন্তান স্বাভাবিকভাবেই জন্মগ্রহণ করেছিল। কোনো সন্তানেরই সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সময়ের আগে জন্ম হয়নি। খুদেজার প্রসব বেদনাও আগে থেকে হয়নি।
আমির আরও জানান, আল্লাহর পক্ষ থেকে সবই স্বাভাবিকভাবে হয়েছে। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার সন্তানদের একই দিনে জন্ম দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা করেননি।
সাসুই বলছেন, আগে আমরা আমাদের জন্মদিন সাধারণভাবে উদযাপন করতাম, কিন্তু এখন আমরা এটি অনেক বড় করে এবং অনেক আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করি।
গিনেস বুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একই দিনে একই পরিবারের সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য জন্মানোর রেকর্ড এটি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল যুক্তরাষ্ট্রের কামিন্স পরিবারের।
ওই পরিবারের ৫ জন সদস্যের জন্ম হয়েছিল ১৯৫২ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে, আর সেটিও একই তারিখে- ২০ ফেব্রুয়ারি।