| *প্রতিদিন ২-৩ হাজার দর্শনার্থী *৩ টি ষ্টল পাবে বিশেষ পুরস্কার
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: নানান রকমের পিঠার সমাহার নিয়ে ৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়া চট্টগ্রামে প্রথম বারের মতো পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের মহোৎসব জমে উঠেছে। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রশিক্ষণ মাঠে “জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ”আয়োজিত এ মহোৎসবে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর সমাগম। যা চলবে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
উৎসবে অংশ নেওয়া নাবিলা ভৈরব পিঠাঘরের বিক্রেতা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার পিঠা মেলায় তারা অংশ নিয়েছিলেন। এবারই প্রথম বন্দর নগরীর এই মেলায় অংশ গ্রহণ করেছেন।মহামারীর মধ্যেও আশানুরূপ দর্শক-ক্রেতার সমাগম হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আরো বাড়বে বলে আশা করেন বিক্রেতা। প্রায় ৪০ ধরনের পিঠা বানাছি। নারিকেল পলি, জালপথি তিলের টপ, ঝিনুক পিঠা, চিংড়ি পিঠা, ইলিশ পিঠা, মালপোয়া, রস চিতই ভেজানো পিঠা, চুটকি পিঠা, দুধ পাকন ছাড়াও আরও বহু পিঠা করা হয়েছে।
নাবিলা পিঠাঘর থেকে পিঠা খেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তমা বলেন, স্টল স্টল ঘুরে দেখে তিন-চার ধরনের পিঠা নিয়েছি। পরিবেশটা ভালো লেগেছে, পিঠাও মজা।
পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রয় কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল আলম বাবু বিজনেসটুডেকে বলেন, নগর জীবনে পিঠাপুলি বানানো এখন অনেকটা কমে গেছে। গ্রামবাংলার বাহারি পিঠা তৈরি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের দেশে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসবে পিঠার প্রচলন বেশ পুরোনো। এ রকম আয়োজন আমাদের গ্রামবাংলার সংস্কৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। তাই, বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পিঠা উৎসব পরিষদ,চট্টগ্রাম আয়োজন করছে এই পিঠা উৎসব। ৪৫ টি ষ্টল বসেছে পিঠা উৎসবে। তরুণ প্রজন্ম অনেক পিঠার নাম জানে না এই সব উৎসবের মাধ্যমে তারাও বিভিন্ন পিঠার নাম জানবে।
দর্শনার্থী কেমন আসছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিন ২-৩ হাজার দর্শনার্থী আসছে। সামনের দিনগুলোতে আরো বেশী দর্শনার্থী আসবে।
তিনি আরোও বলেন, কযেকটি দিক বিবেচনা করে ৩ টি ষ্টলকে পুরস্কার দেওয়া হবে। পিঠা উৎসব উপলক্ষে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে উৎসব মঞ্চে চলবে বাঙালির অনন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই পিঠা উৎসব।
| |