Home কলকাতা এক দশক পর ফের চালু হচ্ছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র

এক দশক পর ফের চালু হচ্ছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র

জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র।
জলপাইগুড়ি: প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর ফের চালু হচ্ছে জলাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। ৩১ মার্চ চালু করার প্রস্তুতি চলছে।

জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যান পুরজিৎ বক্সি গুপ্ত জানান, আগামী ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে চা নিলাম শুরুর আগে ১০ মার্চ মক নিলাম (পরীক্ষামূলক নিলাম) হবে যাতে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।  সব পক্ষের মতামত নিয়েই এই কেন্দ্র পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ভারতীয় চা পর্ষদের জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ও নর্থবেঙ্গল টি প্রোডিউসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটি জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রে মোট ১১ দিন নিলাম হবে, যা চা বিক্রির গতি বাড়িয়ে দেবে। তিনি আরও বলেন, ওয়্যারহাউস চার্জ কম রাখা হবে এবং সেলে করা চায়ের মূল্য ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে ২ শতাংশ কেস ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে, যা দেশের অন্য কোনো নিলাম কেন্দ্রে নেই।

জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র ২০১৫ সাল থেকে বন্ধ।  চা ব্যবসায়ীরা নিলামের জন্য শিলিগুড়ি বা অন্যান্য জায়গার ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হতেন। ব্যবসায়ীদের মতে, জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র নতুন করে চালু হলে এই অঞ্চলের চা শিল্পের বিকাশ ঘটবে এবং উৎপাদনকারীদের আর্থিক নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।

২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষে শেষবার জলপাইগুড়ি চা নিলামকেন্দ্র থেকে এক লক্ষ কেজি তৈরি চা ১০৮ টাকা কেজিদরে নিলাম হয়েছিল। এই নিলামকেন্দ্রে ৬৮ জন চা বিক্রেতা, ১৬৭ জন ক্রেতা, ন’টি ওয়্যারহাউস এবং আটজন টি ব্রোকার সেই সময় নথিভুক্ত ছিলেন।

অনলাইনে লাইভ নিলাম করার জন্য ৮-১০টি ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট পরিষেবা লাগবে। নিলামঘরের প্লাইউডের প্ল্যাংকিং খসে পড়ছে। টিনের পুরোনো চাল দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে। নিলামঘরে বসার চেয়ারগুলি ঠিকঠাক থাকলেও অধিকাংশ টেবিলই অকেজো হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিলামকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় জেনারেটরটিও অকেজো হয়ে গিয়েছে। এ সবকিছুই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার করতে হবে।

২০০৮  সালে তদানীন্তন মন্ত্রী নিরুপম সেন  জলপাইগুড়ি চা নিলামকেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে চায়ের জোগানের অভাবের কারণে ধুঁকতে শুরু করে নিলামকেন্দ্রটি। ২০১৪ সালের অগাস্ট মাসে শেষ চা নিলাম হয়ে কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়।

নিলাম হওয়ার আগে অন্যান্য প্রক্রিয়া ৫ মার্চ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেদিন চা বিক্রির ক্যাটালগ তৈরি করে আপলোড করা হবে। আগামী ৭ তারিখ বিক্রেতার তালিকা করা থেকে অন্য কাজগুলি করা হবে। ১০ মার্চ চা নিলামের মক টেস্ট করা হবে। ৩১ মার্চ লাইভ টি অকশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।