‘দ্যা কেইস অব খাতুনগঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
* সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বাস্তবায়ন করার আশা: চেম্বার সভাপতি
* ৯৫ সালের মাস্টার প্ল্যান খতিয়ে দেখার তাগিদ: ছগীর আহমদ
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: দেশের ঐতিহাসিক পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কয়েক বছর ধরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণ, অর্থনৈতিক প্রভাব ও প্রতিকার বিষয়ক গবেষণা “স্টাডি অন ইকনোমিক ইমপ্যাক্ট অব ওয়াটারলগিং অন লোকাল ট্রেডঃ দ্যা কেইস অব খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশন’র মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা কমিশন’র কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন, সম্মানিত অতিথি এনআরপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার, খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ।
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও কার্যক্রম বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি)’র যৌথ উদ্যোগে, ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। স্টাডি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এনআরপি’র কনসালটেন্ট ড. রিয়াজ আক্তার মল্লিক, ড. নজরুল ইসলাম, ড. আবু তৈয়ব মোঃ শাহজাহান ও সুমাইয়া মামুন।
প্রধান অতিথি বলেন, চাকতাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, চিটাগাং চেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে এক সাথে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে চাকতাই-বদরখালীসহ বিভিন্ন খাল দখলমুক্ত করা, পলিথিন’র ব্যবহার বন্ধ করা, ময়লা আবর্জনা/বর্জ্য ফেলে খাল ভরাট প্রতিরোধ করা এবং কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং কাজ নিয়মিত তদারকি করা হবে।
মাহবুবুল আলম বলেন, শত শত বছর ধরে চাকতাই খালের মাধ্যমে নৌ-পথে বাণিজ্য পরিচালনায় খাতুনগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জ-চাকতাই এলাকার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ক্রমান্বয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও অতি বৃষ্টির ফলে এই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তার সাথে খাল, নালা-নর্দমা ভরাটের ফলে বিভিন্ন গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গ্রহণ করে একনেকে পাশ করার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
এনআরপি’র প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার বলেন, ছোট্ট পরিসরে পরিচালিত এই সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্টে স্টেকহোল্ডাদের মতামত গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভূক্ত করে তা প্রকাশ করা হবে। ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম এনালিস্ট আরিফ আবদুল্লাহ খান এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রকল্প বাস্তবায়নের উপর সলিড ও লিকুইড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন, ১৯৯৫ সালের মাস্টার প্ল্যানে খাতুনগঞ্জের জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন দিক নির্দেশনা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার এবং এই অঞ্চলকে বাণিজ্যিক জোন করার বিষয় বিবেচনার প্রস্তাব করেন।
এছাড়া আরো অংশগ্রহণ করেন ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম এনালিস্ট আরিফ আবদুল্লাহ খান, সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাঈনুদ্দিন (ইমন), চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, আমির মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, রাইস মিলস ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম মহিউদ্দিন (মুহিম), চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ জহুরুল আলম, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।