রামগড়: বাংলাদেশীয় চা সংসদ, চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান ও ফটিকছড়ির হালদাভ্যালী চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। একই সাথে ঐ বাগানের টিলাবাবু রাজিব আহম্মদ রানাকেও জামিনে ছাড়া পান। সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বন আদালত-৫ এর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জিহান সানজিদা তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
ফটিকছড়ির বালুখালি বনবিট কর্মকর্তার দায়ের করা একটি মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে জুডিসিয়াল মাজিষ্ট্রেট জিহান সানজিদা তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের চা শিল্পের জ্যৈষ্ঠ প্লান্টার জাহাঙ্গীর আলমের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও তাঁর মুক্তির দাবিতে গত ১৫ জানুয়ারি ফটিকছড়িতে সহস্্রাধিক শ্রমিক, কর্মচারি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশিষ্ট ব্যক্তিছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারা ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপিও পেশ করেন।
সোমবার চট্টগ্রাম বন আদালত-৫ এ জাহাঙ্গীর আলমের জামিন চেয়ে বিপুল সংখ্যক আইনজীবি আবেদন জানান। এরপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট জিহান সানজিদা জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা কারাগার হতে মুক্তি লাভের পর হালদাভ্যালী চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পপতি নাদের খান নগরীর পেড্রোলো প্লাজায় জাহাঙ্গীর আলমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় পেড্রোলো গ্রুপের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রামগড় চা বাগানের ব্যবস্থাপক জহির-বি- চৌধুরি, নারায়ণহাটের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিকদার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। রাতে নারায়ণহাটে পৌঁছলে হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি সড়কের হালদাভ্যালী বাগানের রাস্তার মাথায় হালদাভ্যালী ও রামগড় চা বাগানের শত শত শ্রমিক-কর্মচারি ও স্থানীয় এলাকাবাসী জাহাঙ্গীর আলমকে সংবর্ধনা দেন।