সিএন্ডএফ এজেন্ট মাহমুদ সিএন্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টম হাউজে ডুপ্লিকেট ডকুমেন্টস পেশ করে এবং কাস্টম হাউস ও বন্দরের সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এভাবে খালাস করে নেয়া হয় আলোচ্য চালানটি।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: শিপিং ডকুমেন্টস জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক কন্টেইনার মাল ডেলিভারি নেয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে।
সিএন্ডএফ এজেন্টের যোগসাজশে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এইচআর সারেরা জাহাজে ঐ কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। ২০ ফুট দীর্ঘ কন্টেইনারটির নম্বর FCIU3666618।ভারতের মুন্দ্রা বন্দর থেকে কন্টেইনারটি শিপমেন্ট হয়। নিয়ম অনুসারে পণ্যের আমদানি মূল্য পরিশোধের পর মূল বিল অব লেডিং ( বিএল ) রিলিজ করা হয়। এর ভিত্তিতে শিপিং এজেন্ট মাল খালাসের অনুমতি দেয়। এক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধ না করায় শিপার বিএল রিলিজ করেনি। তারা এরজন্য আমদানিকারককে দফায় দফায় তাগাদা দেয়। অভিযোগ ওঠেছে যে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করার নামে সময় ক্ষেপণ করে। ইতিমধ্যে মূল্য পরিশোধ না করে পণ্য খালাস করে নেয়ার জন্য ডকুমেন্টস জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়। সিএন্ডএফ এজেন্ট মাহমুদ সিএন্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টম হাউজে ডুপ্লিকেট ডকুমেন্টস পেশ করে এবং কাস্টম হাউস ও বন্দরের সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এভাবে ডেলিভারি নেয়া হয়েছে আলোচ্য চালানটি।
পণ্যের মূল্য পরিশোধে গড়িমসিতে শিপারের সন্দেহ হয়। চট্টগ্রামে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে নেয়া হয়েছে। অথচ, মূল বিএল ছাড়া আমদানি পণ্য খালাস হওয়ার কথা নয়। শিপিং ডকুমেন্টস জালিয়াতি করে তা করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ সিএন্ডএফ এজেন্ট লিমিটেড-এর কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাজধানীর মতিঝিলের ওয়ার্ল্ডেক্স নামক প্রতিষ্ঠানটি মিডল্যান্ড ব্যাংকের এন্ড্রোসমেন্ট সহকারে ডকুমেন্টসমূহ আমাদেরকে দেয়। তাই এগুলো নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ ছিল না। সরল বিশ্বাসে সেগুলো কাস্টম হাউসে পেশ করা হয়। প্রায় ২২ লাখ টাকার মত শুল্কও পরিশোধ করা হয়েছে। শিপিং এজেন্টও যথারীতি ডেলিভারি অর্ডার ( ডিও ) ইস্যু করেছে আলোচ্য চালানের অনুকূলে। এর দিন তিনেক পরে শিপিং এজেন্ট জানায় যে রপ্তানিকারক চালানটি মূল্য পায়নি এবং মূল বিএল তাদের কাছে পড়ে আছে।
জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট রিচফিল্ড শিপিং বিডি ( প্রাঃ) লিমিটেড এন্ড বিএস শিপিং লাইন্স লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি ইতিমধ্যে কাস্টম হাউজসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদের অবহিত করা হয়েছে। জালিয়াতির ঘটনার ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।