সাঙ্গারেড্ডি হেরিটেজ জেল মিউজিয়াম
রূপাঞ্জন গোস্বামী
কাউন্টার থেকে স্লিপটি নিয়ে জেলের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়ালেই, লোহার ফটকের মধ্যে লাগানো ছোট দরজাটা খুলে যাবে। মাথা নিচু করে আপনাকে ঢুকতে হবে জেলের মধ্যে। ঢোকামাত্রই একটি শক্ত হাত ধরে নেবে আপনার হাত। সে হাতে সামান্যতম সহানুভূতির ছোঁয়া নেই। ইউনিফর্ম পরা এক পুলিশ অফিসার আপনাকে নিয়ে যাবেন একটা লম্বা ঘরে। ঘরটি হল জেলের লকার কাম স্টোররুম।
আপনাকে সেখানে জমা দিতে হবে আপনার কাছে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র এমনকি মোবাইলও। আপনি যা জমা দিলেন, তার একটি তালিকা তৈরি করা হবে। তারপর একটা খালি লকারে রাখা হবে আপনার সঙ্গে থাকা মালপত্র। এরপর জেলের কর্মীরা আপনার হাতে তুলে দেবেন কিছু জিনিস। যা জেলের আইন অনুযায়ী সমস্ত নতুন কয়েদিদের দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি পাবেন স্টিলের থালা, কাপ, গ্লাস, বাসন মাজার সাবান, দুটি চাদর, একটি জলের বোতল ও কয়েদির উর্দি।
সাদা রঙের খাদির উর্দিগুলি বানান এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলের কয়েদিরা। উর্দি পরার পর আর এক প্রস্থ তল্লাসি চালানো করা হবে আপনার শরীরে। তারপর আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে আপনার সেলে। আপনার পাশাপাশি হাঁটবেন এক গম্ভীর পুলিশ অফিসার। আপনি সামান্য হাসার চেষ্টা করলেও উনি সাড়া দেবেন না। কারণ আপনি কয়েদি। আপনার সঙ্গে কিছু দূরত্ব তাঁকে রাখতেই হবে। এটাই জেলের আইন।
মিনিট তিনেকের মধ্যেই আপনি চলে আসবেন উঁচু পাঁচিল ঘেরা একটি বাড়ি্র সামনে। আয়তক্ষেত্রাকার এক কামরার এই বাড়িটিতেই বন্দি থাকতে হবে আপনাকে। বন্দি থাকতে হবে পুরো চব্বিশ ঘণ্টা। আপনি অবশ্য এর মধ্যেই এক ঘণ্টা কাটিয়ে ফেলেছেন। কারাকক্ষের গ্রিলের দরজা খুলে দেবেন কারাকর্তা।
সেলের ভেতরে যাওয়ার আগে আপনাকে বাইরের ট্যাপকল থেকে এক বোতল খাওয়ার জল নিতে হবে। থালা বাটি গ্লাস ধুয়ে রেখে দিতে হবে সেলের বাইরে। তারপর আপনাকে সেলের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। সশব্দে বন্ধ হয়ে যাবে সেলের দরজা। হুড়কো লাগানোর পর, দরজায় লাগিয়ে দেওয়া হবে শতাব্দী প্রাচীন ভারী তালা।
প্রায় কুড়ি ফুট লম্বা ঘরটির দেওয়ালে চুনকামের ভ্যাপসা গন্ধ। গ্রিলের দরজা ছাড়া দুটো জানলা দিয়েও আলো ঢুকছে ঘরে। ঘরের বাম দিকে ফুট তিনেক উঁচু একটা পাঁচিল। পাঁচিলের পিছনে আছে ইন্ডিয়ান স্টাইলের টয়লেট। যেটায় বসলে আপনার শরীরের ওপরের অংশ দেখা যাবে। তবে টয়লেটটি পরিষ্কার। আসলে আপনার মত যাঁরা বন্দি থাকেন, নিজেদের তাড়নাতেই তাঁরা টয়লেটটি পরিষ্কার রাখেন। নাহলে দুর্গন্ধে ঘরে টেকা যাবে না।
টয়লেটের পাশেই চৌবাচ্ছা। ডানদিকের দেওয়ালে আছে টিউবলাইট। ছাদ থেকে ঝুলছে একটি সিলিং ফ্যান। কিন্তু টিউবলাইট জ্বালানো ও ফ্যান চালানোর অধিকার আপনার নেই। এই দুটি নিয়ন্ত্রিত হয় সেলের বাইরে থেকে। কারণ আপনি কয়েদি। আপনার ইচ্ছামতো জেল চলবে না। আপনাকে এই চব্বিশ ঘণ্টা চলতে হবে জেলের আইন ও রুটিন মেনে।
এরপর আপনি মাটিতে পেতে নেবেন একটি শতরঞ্চি। অন্যটি মাথার কাছে রাখবেন বালিস হিসেবে। জলের বোতলটা বিছানার পাশে কাছে রেখে দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে পড়বেন। বিস্ময়ের ঘোর তখনও কাটবে না। হতভম্ভ হয়ে ভাবতে থাকবেন, এটাই তাহলে জেল! এভাবেই তাহলে সেলে ঢোকে কয়েদিরা!
আপনাকে মেনে নিতে হবে আগামী চব্বিশ ঘণ্টার জন্য আপনি একজন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত কয়েদি। আপনি এখন আছেন ২২৫ বছরের পুরোনো এক কারাগারে। ১৭৯৬ সালে গোলকুণ্ডা দূর্গের আদলে এই কারাগারটিকে তৈরি করেছিলেন হায়দরাবাদ স্টেটের নিজাম ‘প্রথম সালার জং’। বর্তমানে তেলেঙ্গানা রাজ্যে অবস্থিত এই কারাগারটির নাম সাঙ্গারেড্ডি হেরিটেজ জেল মিউজিয়াম।
এই কারাগারটি ২০১২ সাল পর্যন্ত তেলেঙ্গানা কারা দফতরের অধীনে সক্রিয় ছিল। জেলের দশটি ব্যারাকে ৯০ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা বন্দির থাকার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু কান্ডিতে নতুন জেলা কারাগার তৈরি হওয়ায়, সেখানে এই জেলের সকল বন্দিকে স্থানান্তরিত করা হয়। সাঙ্গারেড্ডি কারাগারটি হয়ে হয়ে গিয়েছিল কয়েদি শূন্য। কিন্তু জেলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব নষ্ট করতে চায়নি রাজ্যের কারা দফতর। ২০১৬ সালে সাঙ্গারেড্ডি জেলটিকে একটি মিউজিয়ামের রূপ দেওয়া হয়েছিল। যে কাজে কারা দফতরকে সাহায্য করেছিল ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ললিতকলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্রছাত্রীরা রং-তুলি ও ভাস্কর্যের সাহায্যে ব্যারাকের বিভিন্ন ঘরে তুলে ধরেছিল অপরাধ ও শাস্তির অজানা ইতিহাস। যার বিস্তার ব্যাবিলনীয় সভ্যতা থেকে মুঘল আমল পর্যন্ত। এই মিউজিয়াম থেকে আপনি জানতে পারবেন প্রাচীন ভারতে শাস্তির ভয়াবহতা। কীভাবে শূলে চড়িয়ে, ফুটন্ত জলে ডুবিয়ে বা হাতির পায়ের তলায় থেঁতলে মারা হত অপরাধীদের। সমকামিতা ও প্রাক-বিবাহ যৌনতার জন্যেও পেতে হত ভয়াবহ সব শাস্তি। কীভাবে ব্রিটিশদের নৃশংসতা ও বর্বরতার সাক্ষী হয়ে উঠেছিল এই সাঙ্গারেড্ডি জেল, জানবেন তাও।
সাঙ্গারেড্ডি জেলে মিউজিয়াম তৈরি করার সময় কারা দফতরের তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল ভি কে সিং-এর মনে এসেছিল অসামান্য একটি ভাবনা। তিনি চেয়েছিলেন মিউজিয়াম দেখতে আসা দর্শকদের একদিনের জন্য আসল কারাবাসের অভিজ্ঞতা দিতে। আসল জেল ও কারাবাস কী, সেটা প্রত্যেকের জানা উচিত। তাহলে হয়ত অপরাধের হার কমলেও কমতে পারে। শোনা যায় চিনেও নাকি নিয়মিত জেলে নিয়ে যাওয়া হয় সরকারি অফিসার ও ব্যবসায়ীদের। তাঁরা জেলে গিয়ে জেলবন্দি অফিসার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। নিজের চোখে দেখেন বন্দি অফিসার ও ব্যবসায়ীদের দুর্দশা। এতেও নাকি কমে অপরাধের হার।
ডিরেক্টর জেনারেলের ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েছিল তেলেঙ্গানা রাজ্যের কারা দফতর। সাঙ্গারেড্ডি জেলের মহিলা ব্যারাকের সেলটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের বন্দি রাখার জন্য। জেলের কড়া অনুশাসনের মেনে জেলবন্দি হিসেবে চব্বিশ ঘন্টা কাটাতে পারবেন যে কেউ। তবে তার বিনিময়ে দিতে হবে পাঁচশো টাকা। তবে কেউ যদি চব্বিশ ঘন্টার হওয়ার আগেই জেলমুক্ত হতে চান, তাঁকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে আরও পাঁচশো টাকা। এই কর্মসূচীটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ফিল দ্য জেল’। সাঙ্গারেড্ডি জেলই ভারতের প্রথম জেল হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছিল। পরবর্তীকালে দিল্লির তিহার ও মহারাষ্ট্রের ইয়েরওয়াড়া জেলও এই ভাবনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
আপনি একটু আনমনা হয়ে গিয়েছিলেন, আপনার সম্বিত ফিরিয়ে দেবে সেলের তালা খোলার আওয়াজ। সকাল সাড় দশটা বাজে। তাই সেলের মেঝেতে নামিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে আপনার দুপুরের খাবার। দুটি চাপাটি, সামান্য ভাত, অড়হড়ের ডাল ও রসম। একই থালায় ঢালা, তাই কে কার সঙ্গে কোলাকুলি করেছে খাওয়ার সময় ছাড়া বুঝতে পারবেন না। এই জেলে কয়েদিদের খাবার দেওয়া হয় জেলের রুটিন মেনে। সকাল ৬ টা থেকে ৬-৩০ টার মধ্যে চা ও বিস্কুট। সকাল ৭ থেকে ৭.৩০ এর মধ্যে প্রাতরাশ। প্রাতরাশে থাকে চাপাটি ও ডাল।
সকাল সাড়ে দশটায় দেওয়া হয় দুপুরের খাবার। বেলা সাড়ে বারোটার সময় আর একবার চা দেওয়া হয়। বিকেল ৪.৩০ থেকে ৫ টার মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয় রাতের খাবার। রাতের মেনু ও একই। তবে একটি তরকারি ও দই থাকে সাথে। কোনও খাবারই এই জেলে রান্না করা হয় না। রান্না করেন কান্ডির জেলের কয়েদিরা। সেই খাবার আনা হয় এই জেলে থাকা কর্মী ও শখের কয়েদিদের জন্য। দুপুরের খাবার খেয়ে বাসন মেজে রাখতে হবে আপনাকেই। সেই বাসন গ্রিলের তলা দিয়ে সেলের বাইরে বের করে দিতে হবে। এই বাসনেই আসবে রাতের খাবার। বাসন অপরিষ্কার থাকলে ওই থালাতেই খেতে হবে আপনাকে।
কোনও এফআইআর, গ্রেফতারি পরওয়ানা ও আদালতের রায় ছাড়াই আপনি জেলবন্দি। ব্যাপারটা প্রথম প্রথম আপনাকে আনন্দ দিলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাকে গ্রাস করতে থাকবে একরাশ বিরক্তি ও অসহায়তা। সময় কাটতে চাইবে না। এক মিনিটকে মনে হবে এক ঘণ্টা। সব থেকে বেশি কষ্ট দেবে মোবাইল ও টিভি। চব্বিশ ঘন্টার জন্য বন্ধ সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বোলানো, ঘন ঘন হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ চেক করা, টিভি দেখা ও ইউটিউব সার্চিং করা। আপনার নিজেকে মনে হবে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ভেসে থাকা কোনও নিঃসঙ্গ দ্বীপের নিঃসঙ্গ বাসিন্দা। সভ্যতা থেকে অনেক দূরে থাকা আদিম কোনও মানুষ।
ক্রমশ বিষণ্ণতা গ্রাস করবে আপনাকে। তাই তিরিশ শতাংশ পর্যটক এই সেলে তিন চার ঘন্টার বেশি বন্দি থাকতে পারেন না। ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে দ্রুতপদে জেল ছাড়েন তাঁরা। দুপুর সাড়ে বারোটার সময় সেলের গরাদে ‘ঠং ঠং’ আওয়াজ শুনতে পাবেন। কেটলি করে চা নিয়ে এসেছেন কারাকর্মী। গরাদের ফাঁক দিয়ে বাড়িয়ে দিন কাপ। কেটলি থেকে কাপে ঝরে পড়বে ‘চা’ নামের গরম জল, যার রঙ বর্ষার নদীর মতই ঘোলাটে।
বিকেল তিনটে নাগাদ আবার খুলে যাবে সেলের গেট। আপনি সশ্রম কারাদণ্ডের আসামী। তাই জেলের নিয়ম মেনেই আপনাকে কাজ করতে যেতে হবে। তিন চার ঘন্টা সেলে বন্দি থাকার পর খোলা আকাশের নীচে আসতে পেরে আপনার মন আনন্দে নেচে উঠবে। আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে জেলের বাগানে। সেখানে আপনাকে শেখানো হবে আগাছা পরিষ্কার করা, চারাগাছ লাগানো ও চারাগাছের পরিচর্যা করার বিভিন্ন পদ্ধতি। তারপর সেগুলি হাতে কলমে করে দেখাতে হবে। কাজে ফাঁকি মারলেই ধমক খেতে হবে। তর্ক করলে রাতের খাবারে রুটি কম মিলতে পারে।
সাড়ে চারটের মধ্যেই আপনাকে ফিরিয়ে আনা হবে সেলে। একই সঙ্গে সেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে রাতের খাবার। জানি বিকেল পাঁচটায় ডিনার করা অভ্যাস আপনার নেই। কারণ এটা চায়ের সময়। কিন্তু কিছু করার নেই। হয় এখনই খান, নয়ত পরে খান শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়া খাবার। নয়ত খাবেন না, উপোস করুন। আপনার দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না। কারণ আপনি বাড়ি বা হোটেলে নেই, জেলে আছেন।
জানলা দিয়ে সেলের দেওয়ালে পড়ছে অস্তমিত সূর্যের শেষ রশ্মিটি। এক সময় তাও মুছে যাবে। মিশকালো অন্ধকারে আবার আপনাকে ঘিরে ধরবে একাকীত্বের বিষণ্ণতা। জেলের কোলাহলহীন পরিবেশকেও ভীষণ নির্মম বলে মনে হবে আপনার। ইতিমধ্যে প্রদীপের উজ্জলতা নিয়ে জ্বলে উঠেছে সেলের টিউব লাইট। অসীম ক্লান্তি নিয়ে ঘুরতে শুরু করেছে পাখা। মর্মে মর্মে আপনি অনুভব করতে থাকবেন কারাবাসের যন্ত্রণা।
রাতে শক্ত মেঝেতে ঘুমাবার চেষ্টা করেও ঘুম হবে না। মাঝে মাঝে দূর থেকে ভেসে আসবে ভারী বুটের আওয়াজ। সাঙ্গারেড্ডি জেলে থাকা ঐতিহাসিক লন্ডন বেলের আওয়াজ পরিবেশকে করে তুলবে আরও ভয়াবহ। কখনও নিজেকে মনে হবে আন্দামানের সেলুলার জেলে দশকের পর দশক বন্দি থাকা বিপ্লবী। কখনও মনে হবে নির্জন ডেথ সেলে থাকা ফাঁসির আসামি। সারাদিনের ক্লান্তি, উত্তেজনা ও ভয় মিলেমিশে একসময় আপনার চোখে ঘুম এনে দেবে।
ঘুম ভাঙিয়ে দেবে লন্ডন বেল। বুঝতে পারবেন এখন ভোর পাঁচটা। সূর্যের আলো এখনও আকাশ ভরাতে পারেনি। কিন্তু আপনার জন্য এনে দিয়েছে আপনার জীবনের এক অসামান্য ভোর। যে ভোরটা দেখার জন্য আপনি সারারাত ছটফট করেছেন। দ্রুত উঠে সেলের টয়লেটে প্রাকৃতিক কাজ সেরে নিতে হবে আপনাকে।
সকাল ছটার সময় আপনার সেলের গেট খুলে যাবে। আপনাকে সেল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হবে মাঠে। সেখানে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করানো হবে। তারপর দেওয়া হবে চা বিস্কুট। খোলা হাওয়ায় কিছুক্ষণ বসার সুযোগ পাবেন। সাড়ে সাতটায় দেওয়া হবে প্রাতরাশ। তারপর আবার আপনাকে সেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সেলের দরজা এবার খোলাই থাকবে।
এরপর জেল কতৃপক্ষের দেওয়া জিনিসগুলি নিয়ে আপনাকে যেতে হবে সেই স্টোর রুমে, যেখানে জমা আছে আপনার জিনিসপত্র। তালিকা মিলিয়ে আপনার জিনিস ফেরত দেবেন কারাকর্মীরা। আপনার থেকে নিয়ে নেওয়া হবে আপনাকে দেওয়া জিনিসগুলি। তারপর আবার আপনার হাত ধরবেন কোনও শক্ত চোয়ালের পুলিশ অফিসার। জেলের প্রধান ফটকের কাছে ছেড়ে দিয়ে বলবেন, “ভবিষ্যতে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়াবেন না।” তারপর তাঁর নির্দেশে খুলে যাবে সাঙ্গারেড্ডি জেলের গেট। জীবনে প্রথমবার মুক্তির স্বাদ পাবেন আপনি। পাবেন জীবনে প্রথমবারের মত পাল্টে যাওয়ার স্বাদ। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে।