Home First Lead জেজু এয়ারের বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা

জেজু এয়ারের বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: রবিবার সকালে ১৮১ জন যাত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে  ভেঙে পড়া  জেজু এয়ারের বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে । মাত্র দুজন জীবিত রয়েছেন। দুজনেই বিমানকর্মী।

বিমানটি ব্যাংকক থেকে মুয়ানে আসছিল। কিন্তু অবতরণের সময় রানওয়ের উপরেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। ফলে বিমানটি রানওয়ে ছিটকে সামনে থাকা রেলিংয়ে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। মুহূর্তের মধ্যেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মুয়ান বিমানবন্দরের আকাশ।

এরপর  ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাঁরা দুজনেই বিমানকর্মী বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি দেখে মনে করা হচ্ছে, এই দুজন ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই। ৮৫ জনের মৃত্যুর খবর ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি ৯৪ জনও আর বেঁচে নেই বলেই অনুমান। এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এটিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা’ বলা হচ্ছে।

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অবতরণের সময়ে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বিমানের,  যার জেরে ল্যান্ডিং গিয়ারে কোনও সমস্যা হয়। সেই কারণে  রানওয়ের উপরে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি পাইলট। এর ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানটিতে ১৭৫ যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং ২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। চলতি মাসের গোড়ায় দেশে সামরিক (মার্শাল) আইন কার্যকরের সুপারিশ করে বিতর্কে জড়ান সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল। পার্লামেন্টের এমপিরা তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) শুরু করেন। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হান ডাক-সু-কে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এক মাসেরও কম সময়ে পর পর তিন বার প্রেসিডেন্ট বদল হয়েছে। শুক্রবারই সে দেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন চোই সাং-মোক। প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্ধারকাজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি।