বিজেনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৮টায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাম ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।
সিআরআইর তরুণদের সংগঠন ‘ইয়াং বাংলা’ ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’।
২০১৫ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইয়াং বাংলা তরুণদের ১৩০ সংগঠনকে নিজ সমাজের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে তাঁদের কাজের জন্য অর্জন করেছে পুরস্কার।
দেশ গঠনে ও নিজ সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চালু করা হয় এই পুরস্কারের।
গতবারের মতই এবারও জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে আবেদন করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণদের ৬০০ সংগঠন। নারী ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, দরিদ্রদের উন্নয়ন, মাদক মুক্ত সমাজ বিনির্মাণ, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনসহ আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সংগঠনগুলো থেকে বাছাই করে ৫০ সংগঠনকে প্রাথমিক জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০ বিজয়ীর তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে এবার মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস।
প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য ‘ভিশন-২০২১’-এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাঁদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।