আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি থেকে: ঝালকাঠির রাজাপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের নিপীড়িত ও ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করে গত ১ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সদ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জন নেতাকর্মী দলীয় স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
গত মঙ্গলবার (৮ফেব্রুয়ারি) রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ’র সভাপতি মো. ফয়সাল আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম অভি’র কাছে লিখিত এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
রাজাপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম হাসান ঈমন সকালে তার ফেসবুক আইডিতে এ পদত্যাগের কথা স্বীকার করেন স্ট্যাটাস দিয়ে।
পদত্যাগ করা নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, র্দীর্ঘদিন ধরে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ভাইয়ের আদর্শকে ধারন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আমরা নেতা কর্মীরা জুলুম ও হুমকির শিকার হয়েছি। আমরা নেতা কর্মীরা এক সাথে আন্দোলন ও সংগ্রামে মাঠে রয়েছি। অথচ ত্যাগী নেতা কর্মীদের অবমূল্যায়ন করে ছাত্রঅধিকার পরিষদের গত ১জানুয়ারি ৩৭ সদস্যের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে তাতে আমরা হতবাক। আমরা এই কমিটি মানি না আমরা ত্যাগীদের দিয়ে নতুন কমিটি চাই।
সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে যারা পদত্যাগ করলেন তারা হলেন, সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম হাসান ঈমন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. মুসা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাওসার খান সাগর, মো. মুন্না হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম হৃদয়, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. শিহাব, দপ্তর সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. শামীম হাওলাদার দীপু, শিক্ষা ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মো. মাহিন খান রোমান, সদস্য মো. শামীম আহম্মেদ মেজবা, মো. নাজমুল।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফয়সালকে একাধিক সময়ে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারন সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অভির কাছে জানতে চাইলে বলেন, যারা পদত্যাগ করেছে তারা সবাই সংগঠনের আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার দায়ে তাদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেয়ার আগেই তারা সিদ্ধান্ত জানতে পেরে নিজেরা পদত্যাগ করেছে। আমরা এ বিষয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিব।