বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়: প্রথমবারের মত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এল ভারতের ঝাড়খন্ডের প্রসিদ্ধ কালো পাথরের একটি চালান। খন্দকার ট্রেডার্সের আমদানি করা এই চালানে রয়েছে এক হাজার টন পাথর। চলতি সপ্তাহে ভারতের ফুলবাড়ি হয়ে পণ্যবাহী ট্রাক যোগে বাংলাবান্ধায় প্রবেশ করেছে পাথরের চালানটি।
ভারত থেকে রপ্তানী করেছে সরকার এন্টার প্রাইজ। ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারী ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে পাথর আমদানি দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হলেও এই প্রথম বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পাকুর এলাকা থেকে প্রসিদ্ধ কালো পাথর (ব্লাক স্টোন) আমদানি শুরু হলো।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে আর পর্যটনের অপার সম্ভাবনার সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করছে বাংলাবান্ধার চতুর্দেশীয় (বিবিআইএন) স্থলবন্দরটি। ভারতের ঝাড়খন্ডের দূরত্ব ৩শ কিলোমিটার। এ স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে ভারতের যেকোন প্রান্তে যাতায়াতে সুবিধা থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনে অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
খন্দকার ট্রেডাসের স্বত্ত্বাধিকারি খন্দকার আরিফ হোসেন লিপ্টন জানান, ভারতের ঝাড়খন্ডের পাকুর এলাকা প্রসিদ্ধ পাথর ব্লাক স্টোন। পরীক্ষামূলকভাবে আমি ১ হাজার টন পাথর এলসি করেছি। যার ভ্যালু ১৩ হাজার ইউএস ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় ৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন ৩/৪-৫/৮ সাইজের পাথর সরকারি ভ্যাট ট্যাক্সসহ ৪৪/৪৫’শ টাকা পড়ছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত পৌছাতে। ঝাড়খন্ডের এ কালো পাথর প্রসিদ্ধ হওয়ার কারণে এর চাহিদা অনেক বেশি। তাই পরীক্ষামূলকভাবে এ পাথর আমদানি করার পর অনেকেই ব্ল্যাক স্টোন (কালো পাথর) আনার জন্য যোগাযোগ করছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম ব্লাক স্টোন আমদানি হলো । এ স্থলবন্দর পাথর নির্ভর হলেও এর আগে কখনো কালো পাথর আমদানি করা হয়নি। ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক দিয়ে সম্ভাবনাময় ও ব্যবসা বান্ধব একটি বন্দর।